সম্প্রতি বাংলাদেশে একটি নতুন রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ করেছে “বিএমজেপি” (বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি)। উচ্চ আদালতের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টিকে (বিএমজেপি) নিবন্ধন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দলটির প্রতীক বরাদ্দ করা হয়েছে ‘রকেট’।
দলীয় পতাকার ডিজাইন করা হয়েছে ভারতের জাতীয় পতাকা এবং বিজেপির দলীয় পতাকার আদলে। নামের আদলে ও কার্যক্রমের গতিপ্রকৃতিতে ভারতের হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপির সঙ্গে সাদৃশ্য খোঁজে পাচ্ছেন অনেকেই। তাই অনেকেরই আশঙ্কা—এই দল কি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতের রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের একটি কৌশলী প্রচেষ্টা।
নিবন্ধনের কাগজ পেয়ে বিএমজেপির প্রেসিডেন্ট সুকৃতি কুমার মন্ডল বলেন, ২০১৮ সালে নিবন্ধন পেতে আবেদন করেছিলাম। বিশেষ কারণে নিবন্ধন ওই সময় পাইনি। ৫ আগস্টের পর রিট করি।
তিনি বলেন, আমরা উচ্চ আদালতের আদেশে কাঙ্ক্ষিত নিবন্ধন সনদ পেয়েছি। আমাদের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। ৫৪ বছরে আমরা রাজনীতির স্বাদ গ্রহণ করতে চাচ্ছি। তিন কোটির মতো মাইনরিটি সম্প্রদায়ের মানুষ আছে। এখন আমরা রাজনীতি করার অধিকার পেলাম। আমরা রাজনৈতিকভাবে সচেতন। ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত আমাদের সমর্থন আছে। আমাদের প্রতীক রকেট।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি নামে নতুন দলের আত্মপ্রকাশ ঘটে। একাদশ সংসদ নির্বাচনে দলটি আবেদন করলেও বাছাই পর্ব পার হতে পারেনি। পরে এ নিয়ে আদালতের শরণাপন্ন হয়। গত ১১ ফেব্রুয়ারি রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টিকে (বিএমজেপি) নিবন্ধন দিতে ইসিকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এবি পার্টি, নুরুল হক নুরের গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি), মাহমুদুর রহমানের নাগরিক ঐক্য, গণসংহতি আন্দোলনকে নিবন্ধন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
এএমএম নাসির উদ্দিন নেতৃত্বাধীন ইসি দায়িত্ব নেওয়ার পর আদালতের আদেশে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির পর বিএমজেপি নিবন্ধন পেল। এখন নিবন্ধিত দলের সংখ্যা দাঁড়াল ৫০- এ।






