প্রতিমা বিসর্জনকালে নয় কোনো শোভাযাত্রা

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার শরীফ মাহমুদ অপু এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজায় প্রতিমা বিসর্জনকালে কোনো শোভাযাত্রা করা যাবে না। তিনি আরো জানান, আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে পূজা মণ্ডপসমূহের নিরাপত্তা, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও প্রাসঙ্গিক বিষয়ে আলোচনাক্রমে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য আজ রোববার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে একটি ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে সর্ব সম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

উক্ত সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি হচ্ছে – কোভিড-১৯ এর প্রেক্ষাপটে পূজা মণ্ডপে প্রবেশের সময় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে হবে, হাত ধোয়া ও স্যানিটাইজার ব্যবস্থা রাখতে হবে, সবার মাক্স পরা বাধ্যতামূলক করতে হবে। তাছাড়াও করোনার সেকেন্ড ওয়েভের কথা চিন্তা করে পূজা মণ্ডপ সংখ্যা যথাসম্ভব কমিয়ে রাখার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, সার্বজনীন পূজা কমিটির নেতৃবৃন্দ দেশব্যাপী এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যগণ আইন-শৃঙ্খলা মোকাবিলায় মোবাইল ডিউটিতে থাকবেন। উক্ত সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হচ্ছে প্রতিমা বিসর্জনকালে কোনো শোভাযাত্রা করা যাবে না। বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রেখে করতে হবে। পূজা মণ্ডপে জনসমাগম নিয়ন্ত্রণের জন্য অঞ্জলী প্রদান অনুষ্ঠান টিভি চ্যানেল এ লাইভ প্রচারের জন্য পূজা উদযাপন কমিটি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন। আরও উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্ত গুলো হলো-জনসমাগম সীমিতকরণসহ অন্যান্য নির্দেশনাবলি মিডিয়ায় প্রচারের ক্ষেত্রে তথ্য মন্ত্রণালয় সহযোগিতা করবে।

করোনার সেকেন্ড ওয়েভ সম্পর্কে সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। তাছাড়াও পূজা মণ্ডপ ব্যবস্থাপনায় পূজা উদযাপন কমিটি স্থানীয় প্রশাসনের ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করবেন। পূজা উদযাপন কমিটি জরুরি প্রয়োজনে ৯৯৯ সেবা নিতে পারবেন। সভায় ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সচিব জননিরাপত্তা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, সেনা সদরের সচিব, সুরক্ষা সেবা বিভাগ, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক, আনসার ও ভিডিপি, বিজিবি, র‍্যাব, এনএসআই, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।