বেড়া দিয়ে রাস্তা বন্ধ করায় দুর্ভোগে গ্রামবাসী

দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছরের পুরনো গ্রামীণ রাস্তায় জোরপূর্বক বাঁশের বেড়া দিয়েছে এক প্রভাবশালী। এতে ৩০টি পরিবারের কয়েকশত মানুষ চলাচল করতে পারছে না। শিক্ষার্থীরা স্কুলে ও কৃষকরা ধান কেটে তাদের বাড়িতে নিয়ে যেতে পারছে না। নওগাঁর রাণীনগরের কালীগ্রাম ইউনিয়নের কাচারী বেলঘড়িয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় বাসিন্দা সাধন, মোদন কুমার, নিতাই চন্দ্রসহ অনেকেই বলেন, তারা এই রাস্তা দিয়ে প্রায় ৩০ বছর যাবত চলাচল করে আসছে। গত ২০১২ সালে রাস্তার মালিকানা দাবী করা ব্যক্তি বাঁশ দিয়ে বেড়া দিলে পুলিশ প্রশাসন এসে তা চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়। পূর্বশত্রুতার জেরে পুনরায় সপ্তাহখানেক আগে আবার রাস্তার জমির মালিকানা দাবীদার গোপেশ্বরের ছেলে ও তার পরিবারের সদস্যরা বাঁশের বেড়া দিয়ে আমাদেরসহ প্রায় ৩০টি বাড়ির লোকজনকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। জমি তাদেরও হলেও তো একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান আছে। তারা আমাদের কোন কথাই শুনছে না। বর্তমানে আমাদেরকে অপর একটি গ্রাম দিয়ে ঘুরে যেতে হচ্ছে যা খুবই কষ্টকর। আমরা মাঠ থেকে ধান কেটে বাড়িতে নিয়ে আসতে পারছি না। আমাদের সন্তানরা স্কুলে যেতে পারছে না। এই রাস্তা দিয়ে মাঠে যায় গ্রামের অনেক মানুষ। তারাও মাঠে যেতে পারছে না। বর্তমানে আমরা চরম দুর্ভোগের মধ্যে পরিবার নিয়ে বসবাস করছি।

এলাকাবাসী জানান, এই বিষয়টি নিয়ে একাধিকার সংঘর্ষেরও সৃষ্টি হয়েছিলো। বিষয়টি দীর্ঘদিন যাবত সমাধান করে দিবে দিবে বলে যাচ্ছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা। আমরা চাই সকলের উপস্থিতিতে অতিদ্রুত এই রাস্তার জায়গা নিয়ে সৃষ্ট সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান। কিন্তু কিছু সংখ্যক প্রভাবশালী ব্যক্তিদের কারণে সমস্যাটি সমাধান হচ্ছে না।

রাস্তার জমির মালিক গোপেশ্বরের ছেলে রুহিদাশ চন্দ্র বলেন, রাস্তার জায়গাটি আমাদের জমির মধ্যে পড়েছে তাই আমরা জায়গাটি বাঁশের বেড়া দিয়ে দখলে নিয়েছি। এতদিন যাবত আমরা রাস্তার জায়গা দিয়েছি, কিন্তু এখন আর দিবো না। যাদের সমস্যা তারা রাস্তা তৈরি করে চলাচল করুক এতে যদি আমাদের কিছু জায়গা ছেড়ে দিতে হয় দিবো।

কালীগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম বাবলু মণ্ডল বলেন, এই রাস্তার জায়গা নিয়ে সমস্যা দীর্ঘদিন যাবত চলে আসছে। আমি বিগত সময়ে স্থানীয়দের সমস্যাটি সমাধান করার জন্য বলেছি। এতে আমার সহযোগিতা থাকবে। তবে বেড়া দিয়ে রাস্তা বন্ধ করার বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মামুন বলেন, বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে জানাতে বলেছি। চেয়ারম্যান যদি বিষয়টি সমাধান করতে না পারে তাহলে আমার কাছে লিখিত অভিযোগ দিলে আমি বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।