বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দল: কপাল পুড়ল যাদের

বাংলাদেশের স্বপ্নের সারথি হিসেবে বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছেন কারা? এ নিয়ে অনেক জল্পনা-কল্পনা হয়েছে। আলোচনার শেষ না হলেও অন্তত কল্পনার শেষ হলো। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) মাশরাফি বিন মর্তুজাকে অধিনায়ক করে ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।ঘোষিত স্কোয়াডে কারো কপাল খুলেছে বিপরীতে কারো পুড়েছে।

ক্রিকেটপ্রেমীদের ধারণা ছিলো তামিমের সাথে ওপেনার হিসেবে যোগ্য ইমরুল কায়েস।এই দুজনের অভিজ্ঞাতা এবং বুঝাপড়া বেশ ভাল।শেষ পর্যন্ত ১৫ জনের দলে জায়গা হলো না অভিজ্ঞ ইমরুলের। ওপেনিং পজিশনে নিজেদের জায়গা ধরে রাখলেন লিটন দাস আর অফফর্মে থাকা সৌম্য সরকার।

অনেকে চেয়েছিলেন এনামুল হক বিজয়কে।সম্প্রতী ঘরোয়া লিগে তার পারফরম্যান্স চোখে পড়ার মতো।টানা হাঁকিয়েছেন তিনটি শতক।তবে বিশ্ব মঞ্চে  গেলে খেয় হারিয়ে ফেলেন বিজয়।তাই তার জায়গা হবে না বিমানে সেটা আগেই অনুমেয় ছিল।হয়েছেও তাই।

ইমরুল কায়েসের ঘরের মাঠে ২০১১ সালের বিশ্বকাপে একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে দুটি ম্যাচসেরা হওয়ার কৃতিত্ব আছে। তামিমের সঙ্গে ধীরস্থির ইমরুলের জুটিও জমে ভালো। তাদের রসায়নটাও ভালো বলেই গণ্য করা হয়। তবে বিসিবি ইংল্যান্ডের কণ্ডিশন বিবেচনা করে তাকে স্কোয়াডে রাখেননি।

সম্প্রতী ঘরোয়া  লিগে ভালোই খেলেছেন লিটন (শেষ ৫ ইনিংসে মোহামেডানের হয়ে ২৭, ৮৪, ৩৬, ৫৩, ২৪)। আর সৌম্যর সাম্প্রতিক ফর্ম উদ্বেগ জাগানোর মতোই। আবাহনীর হয়ে শেষ পাঁচ ইনিংসে তার রান-১২, ১০, ১৪, ১, ২।

রুবেল-মোস্তাফিজের সাথে বোলিং বিভাগে তাই তাসকিন আহমেদের নামটি জোরেসোরেই উচ্চারিত হচ্ছিল।যদিও পূর্ব থেকেই অনুমেয় ছিলো ইনজুরির কারণে বিশ্বকাপের বিমান মিস করছেন তাসকিন। শেষ পর্যন্ত সেটাই ঘটলো, বাদ পড়লেন এই গতিতারকা।সেখানে জায়গা করে নিলেন আবু জায়েদ রাহী।

এদিকে তাসকিন চোট কাটিয়ে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের হয়ে খেলতে নামলেও ভালো কিছু করতে পারেননি।৫ ওভার হাত ঘুরিয়ে খরচ করেছেন ৩৬ রান।শিকার করতে পারেননি একটি উইকেটও।

তাসকিন যেহেতু তিনি পেস বোলার, ছন্দে ফিরতে একটু সময় লাগবেই। বিশ্বকাপের দলে এমন একজনকে নিয়ে ঝুঁকি নিতে চাননি নির্বাচকরা। বল হাতে ভালো ফর্মে না থাকায় বিবেচনায় আসেননি শফিউল ইসলাম ।