রংপুর রাইডার্সকে হারিয়ে বিপিএলের ফাইনালে সিলেট স্ট্রাইকার্স

পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা সিলেট স্ট্রাইকার্সকে হারিয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স বিপিএলের ফাইনাল নিশ্চিত করেছিল। তবে শীর্ষে থাকায় ফাইনালে ওঠার আরেকটি সুযোগ পায় মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার দল। সেই সুযোগটাই কাজে লাগাল সিলেট। রংপুর রাইডার্সকে ১৯ রানে হারিয়ে বিপিএলের নবম আসরের ফাইনাল নিশ্চিত করল ফ্রাঞ্চাইজটি।

মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিপিএলের ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মুখোমুখি হয় সিলেট স্ট্রাইকার্স ও রংপুর রাইডার্স। ম্যাচটিতে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় রংপুর। ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮২ রান করে সিলেট। ১৮৩ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৬৩ রান তুলতে পারে রংপুর। তাতে ১৯ রানের জয়ে বিপিএলের ফাইনাল নিশ্চিত হয় সিলেট স্ট্রাইকার্সের।

বড় রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় রংপুর। দলীয় ৩ রানে তানজিম হাসান সাকিবের বলে আউট হন স্যাম বিলিংস। ১১ বলে ১৪ রান করে আউট হন শামিম হোসেন। ৪.৫ ওভারে দলীয় ৩৪ রানে রুবেল হোসেনের বলে জর্জ লিন্ডের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন শামিম।

গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে আউট হয়ে যান ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে থাকা ব্যাটসম্যান নিকলাস পুরান। ১৪ বল থেকে ১ চার ও ৬ ছক্কা হাকিয়ে ৩০ রান করেন পুরান। ৮.৩ ওভারে লুক উডের বলে লিন্ডের হাতে ক্যাচ দেন পুরান। এরপরে উইকেটে থাকা রনি তালুকদারকে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ান অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। তাদের জুটিতে জয়ের স্বপ্ন দেখে রংপুর।

তবে ১৭.১ ওভারে রংপুরের অধিনায়ক সোহান (৩৩) আউট হলে বড় ধাক্কা খায় ফ্রাঞ্চাইজটি। এরপরেই রান আউটের শিকার হন ৬৬ রান করা রনি তালুকদার। তাতে জয়ের স্বপ্ন ফিকে হয়ে আসে রংপুরের। এরপরে দাসুন শানাকা ও ডোয়াইন ব্রাভো আউট হলে ফাইনালে ওঠার স্বপ্নভঙ্গ হয় রংপুরের। শেষ পর্যন্ত দলটি ৮ উইকেটে ১৬৩ রান সংগ্রহ করতে পারে।

প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ভালো শুরু পায় সিলেট। রানের গতি তুলনামুলক কম হলেও দুই ওপেনার তৌহদ হৃদয় ও নাজমুল হোসেন শান্ত করেন ৫৩ বল থেকে ৬৫ রান। ৮.৫ ওভারে মেহেদী হাসানের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন শান্ত। আউট হওয়ার আগে তিনি করেন ৩০ বল থেকে ৪০ রান।

শান্তর পরে সবাইকে অবাক করে দিয়ে আবার ব্যাট হাতে নামনে অধিনায়ক মাশরাফী। উইকেটে এসেই ছক্কা মেরে ব্যাটিং শুরু করেন সিলেট কাপ্তান। তবে অপর প্রান্তে থাকা ওপেনার তৌহদ হৃদয় যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি। ৯.৪ ওভারে হাসান মাহমুদের বলে ডোয়াইন ব্রাভোর হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে যান হৃদয়। ২৫ বলে ২ চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে তিনি করেন ২৫ রান।

উইকেটে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি জাকির হাসান (১৬) এবং রায়ান বার্ল (১৫)। মাশরাফী এক প্রান্ত দাঁড়িয়ে তাদের আউট হওয়ার দৃশ্য দেখছিলেন। জাকির এবং রায়ান দুজনেই দাসুন শানাকার বলে স্যাম বিলিংসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন। রানের গতি বাড়ানোর মুহূর্তে আউট হয়েছেন মাশরাফী নিজেও। ১৬ বল থেকে ৩ চার ও ১ ছক্কায় সিলেট অধিনায়ক করেন ২৮ রান। দলীয় ১৩৪ রানে ব্রাভোর বলে নিকলাস পুরানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মাশরাফী।