নিখোঁজের ২ দিন পর পাওয়া গেল সাবেক ফুটবলার মহসিনকে

নিখোঁজের দুই দিন পর অবশেষে জাতীয় দলের সাবেক তারকা গোলকিপার মোহাম্মদ মহসিনকে খুঁজে পাওয়া গেছে। আজ বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সকালে তেজগাঁও রেলস্টেশন থেকে জিআরপি পুলিশ তাকে খুঁজে পেয়ে রিকশায় করে বাসায় পাঠিয়ে দেয়। সকালেই ঠিকঠাক বাসার ঠিকানা অনুযায়ী রিকশাচালক মহসিনকে বাসায় পৌঁছে দিয়েছে।

এর আগে মহসিনকে খুঁজে পেতে থানায় জিডি সহ বাসা সংলগ্ন এলাকা সহ আশপাশে পোস্টারিং এবং মাইকিং করা হয়েছিল। সেই সূত্রে হয়তো কেউ মহসিনকে চিনতে পেরেছেন বলে জানিয়েছেন ভাই পিন্টু।

পিন্টু বলেন, \’মহসিন কীভাবে তেজগাঁও রেলস্টেশনে গেল, বোধগম্য হচ্ছে না। ওর পুরো শরীরে ধুলোবালুতে একাকার। ওখানেই মনে হয় পড়ে ছিল। জিআরপি পুলিশ আমাকে ফোন করেছিল। ওরাই রিকশা করে বাসায় পাঠায়। বাসায় আসার পর ওকে জিজ্ঞেস করেও কোনো সদুত্তর পাইনি। এসে শুধু বলেছে ক্ষুধা পেয়েছে। এখন গোসল করিয়ে খাওয়ানোর পর ওষুধ দিয়ে ঘুম পাড়ানো হয়েছে।\’

জাতীয় দলের সাবেক তারকা গোলকিপার মোহাম্মদ মহসিন এমনিতে মানসিকভাবে অসুস্থ। সবসময় মালিবাগের আয়শা কমপ্লেক্সের বাসাতে পরিবারের অন্য সদস্যদের চোখে চোখে থাকতেন। তবে গত মঙ্গলবার হঠাৎ করেই অন্যদের নজর এড়িয়ে বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি।

৮০ ও ৯০-এর দশকে আবাহনী-মোহামেডানে খেলা একসময়ের স্টাইলিশ গোলকিপার মহসিনকে না পেয়ে মঙ্গলবারই তার ছোট ভাই কোহিনুর ইসলাম পিন্টু রমনা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন। কানাডা থেকে এসে ঢাকার বাসায় দিনাতিপাত করছিলেন মহসিন। কিছু দিন আগেও চিকিৎসার অভাবে মহসিনের খারাপ অবস্থা ছিল। ক্রিকেট বোর্ড দায়িত্ব নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করলেও সেরে ওঠেননি।

উল্লেখ্য, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা গোলরক্ষক মহসীন। ১৯৮২-৯৩ পর্যন্ত জাতীয় দলে এক নম্বর গোলরক্ষক ছিলেন। ঢাকা আবাহনী, মোহামেডানে, মুক্তিযোদ্ধায় খেলেছেন সুনামের সঙ্গে। গোলের খেলা ফুটবলে গোলরক্ষক হয়েও তারকা হওয়া যায় সেটা মহসিন দেখিয়েছেন।

খেলা ছাড়ার পর কানাডায় বসবাস শুরু করেন। কানাডা দীর্ঘদিন থাকার পর দেশে ফিরে আসেন বছর কয়েক আগে। পারিবারিক ও ব্যক্তিগত কিছু কারণে শরীর তার ক্রমান্বয়ে খারাপ হতে থাকে৷ অবস্থা খুব নাজুক হয়েছিল কিছু দিন আগে। এরপর ক্রীড়াঙ্গনে তোলপাড় পরে যায়। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) তার চিকিৎসার দায়িত্ব নেয়৷ হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় তিনি বাসায় চলে আসেন। এরপর আর চিকিৎসা সেভাবে হয়নি।