ridoy

বাংলাদেশকে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে তুলতে চাই: হৃদয়

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সময়টা একদমই ভালো কাটছে না বাংলাদেশের। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হেরেছে টাইগাররা। সর্বশেষ কয়েকটি আইসিসি ইভেন্টেও দলের পারফরম্যান্স বেশ হতাশাজনক। এমন সময়েও বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলার স্বপ্ন দেখছেন টাইগার ক্রিকেটার তাওহীদ হৃদয়।

যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজ খেলতে বিশ্বকাপের অনেক আগে দেশ ছেড়েছে বাংলাদেশ। দেশের হয়ে বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ায় দলের প্রত্যেক ক্রিকেটারই নিজেদের অনুভূতি এবং লক্ষ্যের কথা জানিয়েছেন বিসিবির মিডিয়া বিভাগের কাছে। সম্প্রতি তাওহীদ হৃদয়ের ভিডিওটি প্রকাশ করেছে বিসিবি।

বিশ্বকাপের আগে দলের অবস্থা অনেকটাই শোচনীয় হলেও ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স ঠিকই ধরে রেখেছেন হৃদয়। সাম্প্রতিক সময়ে দলের সবচেয়ে ইনফর্ম ব্যাটার তিনি। তাই প্রত্যাশাটাও তার কাছ থেকে স্বাভাবিকভাবেই বেশি। সেই প্রত্যাশা নিয়ে হৃদয়ের ভাবনার কথা জানা গেছে তার সাক্ষাৎকারে।

বিশ্বকাপে নিজের ব্যক্তিগত অর্জন নিয়ে হৃদয়ের ভাবনা কী, এমন প্রশ্নের উত্তরে এই ক্রিকেটার বলেন, ‘এবারের বিশ্বকাপে নিজের নামের পাশে কিছু দেখতে চাই না। আমি চাই দল যেন ভালো করে। আমার জায়গা থেকে অবশ্যই নিজের সেরাটা দিয়ে অবদান রাখার চেষ্টা করব। আমি চাই আমার দল কমপক্ষে সেমিফাইনাল খেলুক।’

অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে দেশের হয়ে শিরোপা জিতেছেন হৃদয়। দেশের হয়েও শিরোপা জেতার প্রত্যয় এই ক্রিকেটারের, ‘চোখ খুলে এখনো অনুভব করি যে কী হয়েছিল সেই বিশ্বকাপে (অনূর্ধ্ব-১৯)। এখন আমাদের সময় এসেছে জাতীয় দলের হয়ে এশিয়া কাপ, বিশ্বকাপের মতো জায়গায় গিয়ে ভালো করা, কাপ নেওয়া, ভালো করা না, কাপ নিতে চাই। শুধু আমি না, আমরা সবাই চাই। আমরা যদি আমাদের দিক থেকে ভালো করতে পারি, তাহলে বেশি দেরি নেই।’

হৃদয় আরও বলেন, ‘আইসিসি ইভেন্ট জেতাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, যখন জিতব, তখন আমাদের সেভাবেই মূল্যায়ন করা হবে। এখন যেমন বড় বড় দলের খেলোয়াড়দের মূল্যায়ন করা হয়…আমরা যদি দু-একটি ট্রফি জিততে পারি, তাহলে আমাদের মানসিক সন্তুষ্টি, আত্মবিশ্বাস…আমাদের যে নতুন প্রজন্ম আসবে, তাদেরও ওইভাবে সবাই মূল্যায়ন করবে।’

বিশ্বকাপ জেতার জন্য দলের সবার মধ্যে জেদ আছে বলে মনে করেন হৃদয়, ‘অনূর্ধ্ব-১৯–এ যারা ছিল, শুধু অনূর্ধ্ব-১৯ নয়, এই দলে যারা আছে, মনে হয় যে প্রত্যেকেই গুরুত্বপূর্ণ। সবাই খুবই আক্রমণাত্মক। তামিম, সাকিব, রিশাদ…যারাই আছে, আমার মনে হয় ওরা এমন খেলোয়াড়, যেকোনো দিন একজন-দুজন খেলার চেহারাটা পরিবর্তন করে দিতে পারে। এদের মধ্যে ওই সামর্থ্য আছে। প্রত্যেকের মধ্যে একটা জেদ আছে। আমরা যেভাবে চ্যাম্পিয়ন হয়েছি, এখানেও তেমন কিছু করব।’

তবে বয়সভিত্তিক ক্রিকেটের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পার্থক্যটা বিশাল। গত এক-দেড় বছরে এটি হৃদয়-তানজিদের বুঝে যাওয়ার কথা। হৃদয় অবশ্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের চ্যালেঞ্জটা উপভোগই করেন বলে দাবি করলেন, ‘দুটিই তো দেশের জন্য খেলা, একটা বয়সভিত্তিক পর্যায়ে। আরেকটা এলিট স্টেজে। দুটিই গর্বের। একটা ক্যারিয়ার শুরুতে আসা অর্জন, সব সময়ের জন্য স্মরণীয়। জাতীয় দলে চ্যালেঞ্জ বেশি, প্রতিযোগিতা বেশি—সবকিছুই বেশি। যেখানে চ্যালেঞ্জ বেশি, সেখানেই ভালো লাগে।’

Scroll to Top