নিজেকে আসামী মনে করছেন মাহামুদউল্লাহ

পরপর দুই টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে হার। শর্ট বলের সামনে বারবার ভেঙে পড়া। চ্যালেঞ্জের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ। একই ভুলের পুনরাবৃত্তি। ঘাটতি কি তবে সামর্থ্যেই? এই সংশয়ে জোর আপত্তি মাহমুদউল্লাহর। বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়কের বিশ্বাস, মাঠের পারফরম্যান্স যা ফুটিয়ে তুলছে, বাংলাদেশ তার চেয়ে ভালো দল।

ওয়েলিংটন টেস্টে নিউ জিল্যান্ডর কাছে ইনিংস ও ১২ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। প্রথম টেস্টে হ্যামিল্টনে কিউইদের জয় ছিল ইনিংস ও ৫২ রানে।

পরাজয়ের ব্যবধান দ্বিতীয় টেস্টে একটু কম হলেও এই হার অনেক বেশি বিব্রতকর। বৃষ্টিতে প্রথম দুই দিনে টসই হতে পারেনি। এরপরও ম্যাচ শেষ হয়ে গেছে শেষ দিনের প্রথম সেশনে। ফল হয়েছে ২০১.৫ ওভারে। কার্যত বাংলাদেশ হেরে গেছে আড়াই দিনের কম সময়ে।

শেষ দিনে মাহমুদউল্লাহ নিজে করেছেন ৬৭ রান। সতীর্থদের আরও লড়াই করা উচিত ছিল, সেটিও বলছেন অকপটে। তবে হতাশাটা না লুকালেও দাবি করছেন, এই পারফরম্যান্স বাংলাদেশের সামর্থ্যের প্রতিফলন নয়।

“অবশ্যই আমরা খুবই হতাশ। আরও অনেক ভালো করা উচিত ছিল। আমরা এর চেয়ে ভালো দল। জানা ছিল, এই উইকেটে বোলারদের জন্য সহায়তা থাকবে। আমাদের উচিত ছিল আরও বেশি নিবেদন দেখানো। সামনের ম্যাচে এসবের সঙ্গে যতটা বেশি সম্ভব মানিয়ে নিতে হবে আমাদের।”

তৃতীয় দিনের পড়ন্ত বেলায় নিউজিল্যান্ডের উপর ভালই চাপ দিয়েছিলেন পেস বোলার আবু জায়েদ রাহি। তার এক স্পেলে ওই দিন নিউজিল্যান্ড হারিয়েছে ২ উইকেট ৩৮ রানে। চতুর্থ দিনের শুরুতেও নিউজিল্যান্ডকে চেপে ধরেছিলেন রাহি। দিনের চতুর্থ ওভারে রস  টেলরকে ২ বার ফিরিয়ে দেয়ার সুযোগ তৈরি করেছিলেন এই পেস বোলার। অথচ, ২০ রানের মাথায় এক্সট্রা কভারে মাহামুদউল্লাহ এবং স্লিপে সাদমানের হাত থেকে ফসকে গেছে ক্যাচ।

২০  রানের মাথায় বেঁচে যাওয়া রস টেলর করেছেন ডাবল সেঞ্চুরি ! তৃতীয় উইকেট জুটি বিচ্ছিন্ন হতে পারতো ৩৬ রানে, সেই পার্টনারশিপটি বড় হতে হতে ঠেকেছে ১৭২ এ ! চতুর্থ উইকেট জুটিতে ২১৬ রানেও দিয়েছেন নেতৃত্ব টেলর। তার কল্যানেই নিউজিল্যান্ড প্রথম ইনিংসে লিড পেয়েছে ২২১। এই পুঁজি দিয়েই বাংলাদেশকে ইনিংস হারে বাধ্য করেছে নিউজিল্যান্ড। সে কারনে টেলরের ক্যাচ ড্রপে অপরাধবোধে তাড়িত বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়ক মাহামুদউল্লাহ। ওই ক্যাচ ড্রপে নিজেকে আসামী মনে করছেন তিনি-‘টেলরের ক্যাচ আমি ড্রপ করেছি, তার পর স্লিপে আর একটি ক্যাচ ড্রপ হয়েছে। ওই ক্যাচ দু’টি নিতে পারলে গল্পটা অন্য রকম হতে পারতো।’

“আমি ক্যাচ ছাড়লাম, এক বল পরই আরেকটা ক্যাচ পড়ল। ক্যাচগুলো নিতে পারলে হয়তো অন্যরকম কিছু হতে পারত। বোলাররা আরও আত্মবিশ্বাসী থাকত। ওই ভুলগুলি শোধরাতে হবে আমাদের।”

শোধরানোর শেষ সুযোগ ক্রাইস্টচার্চে, সিরিজের শেষ টেস্ট আগামী শনিবার থেকে।

Scroll to Top