করোনাঃ সিলেটের পর্যটন কেন্দ্রে স্থানীয় পর্যটকের ভিড়

ঈদের ছুটি শেষ হলেও পর্যটন কেন্দ্রগুলোয় পর্যটকের ভিড় কমেনি। মহামারী করোনা পরিস্থিতিতে এবার সিলেটের বাইরে থেকে পর্যটক না এলেও স্থানীয়দের পদচারণে মুখর পর্যটন কেন্দ্রগুলো। তবে পর্যটকরা স্বাস্থ্যবিধি না মানায় করোনা সংক্রমণের আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে প্রশাসনকেও কোনো ধরনের পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। সিলেটের পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়ার ব্যাপারে এখনো প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত আসেনি। করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে পর্যটন কেন্দ্রগুলোয় পর্যটকদের গমনের ওপর জারিকৃত নিষেধাজ্ঞা এখনো বলবৎ আছে। এর পরও ঈদুল আজহার পরদিন থেকে সিলেটের পর্যটন কেন্দ্রগুলোয় পর্যটকের ঢল নেমেছে।

প্রায় চার মাস ঘরবন্দী থাকার পর অনেকে ঈদ উপলক্ষে পরিবার নিয়ে ছুটছে পর্যটন কেন্দ্রগুলোয়। প্রতিদিন সিলেটের জাফলং, লালাখাল, বিছানাকান্দি, রাতারগুল, সাদাপাথরসহ প্রায় প্রতিটি পর্যটন কেন্দ্রে হাজারো পর্যটক ছুটে যাচ্ছে। কিন্তু ভ্রমণের ক্ষেত্রে পর্যটকরা মোটেই মানছে না স্বাস্থ্যবিধি। পর্যটন কেন্দ্রগুলোয় মাস্ক ছাড়াই পর্যটকদের ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেছে। এতে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। গতকাল কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাদাপাথরে সপরিবারে বেড়াতে যান নগরের শিবগঞ্জের নাজমুল আলম।

স্ত্রী ও ছোট ছেলেমেয়েদের নিয়ে বেড়াতে গেলেও কারও মুখে ছিল না মাস্ক। নাজমুল আলম বলেন, ‘শহরে বাসা থেকে বের হলে ঠিকই মাস্ক ব্যবহার করা হয়। মাস্ক ব্যবহার না করলে অনেক সময় প্রশাসনের অভিযানের মুখে পড়তে হয়। কিন্তু পর্যটন কেন্দ্রগুলোয় বেড়াতে আসা কেউই মাস্ক ব্যবহার করেন না। প্রশাসনেরও নজরদারি নেই।’ এদিকে, এবারও করোনা পরিস্থিতির কারণে বাইরে থেকে সিলেটে পর্যটকের আগমন ঘটেনি।

ফলে ঈদের পর হোটেল, মোটেল ব্যবসায় মন্দাভাব বিরাজ করছে। ঈদের আগে নগরের কিছু হোটেল খুললেও পর্যটক না আসায় তারা ফের বন্ধ করে দেওয়ার চিন্তা ভাবনা করছে। সিলেট নগরের জিন্দাবাজারের হোটেল গোল্ডেন সিটির মহাব্যবস্থাপক মিষ্টু দত্ত বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির শুরু থেকেই পর্যটক আসা বন্ধ রয়েছে। সরকারি নির্দেশনামতো বেশ কিছুদিন সিলেটের সব হোটেল বন্ধ রাখা হয়। ঈদের পর পর্যটক আসতে পারে এমন সম্ভাবনায় হোটেলগুলো পর্যটকদের জন্য সাজানো হয়েছিল। কিন্তু পর্যটক না আসায় হোটেল মালিকদের বাড়তি লোকসান গুনতে হচ্ছে। এখন হয়তো আবারও হোটেল বন্ধ করে দিতে হবে।’