এসআই আকবর হোসেন যেন পালাতে না পারে, সব ইমিগ্রেশনে চিঠি গেছে

সিলেট জেলার কোতোয়ালি থানার বন্দরবাজার ফাঁড়িতে আলোচিত মো. রায়হান আহমদের (৩৪) মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত কাজ শুরু করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তদন্ত স্বার্থে সাময়িক বরখাস্ত ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে প্রয়োজন।

আজ বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে ধানমন্ডিতে পিবিআইর প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির প্রধান, ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন।

তিনি বলেন, সিলেটের ঘটনার মামলার ডকেট আমরা গত পরশুদিন রাতে পেয়েছি। ঘটনাস্থলে সিলেটের পিবিআই টিম তিন থেকে চার ঘণ্টা ছিল গতকাল। আমরা আমাদের তদন্ত শুরু করে দিয়েছি। তদন্তের প্রাথমিক পর্যায়ে আমাদের মনে হয়েছে সাময়িক বরখাস্ত উপ-পরিদর্শক আকবরকে আমাদের দরকার।

বনজ কুমার মজুমদার বলেন, এ কারণে সব ইমিগ্রেশনে আমরা জানিয়ে দিয়েছি আকবর যেন কোনোমতেই দেশ ছেড়ে পালিয়ে না যেতে পারে। এছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও সীমান্তের বিভিন্ন ইমিগ্রেশন সেন্টারে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে আকবর যেন দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে না পারে। তাকে ধরার জন্য আমরা টিম রেডি করেছি। তাকে আমাদের খুবই দরকার।

‘আমাদের আইজিপি স্যার সব সময় বলেন করোনার মধ্যে তোমরা যে সুনাম কামিয়েছে আকাম করে এ সুনাম নষ্ট করো না। আকবর যেহেতু এই অপকর্ম করে বাহিনীর সুনাম নষ্ট করেছে এবং সে আমাদের কথা চিন্তা করেনি। সুতরাং তার বিষয়ে কোনো চিন্তা করার সুযোগ নেই। ’

১০ হাজার টাকার কারণেই কি এমন ঘটনা ঘটেছে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা বিষয়গুলো তদন্ত করে দেখছি। একদিনেতো সবকিছু বলা যাবে না। তবে আমরা একজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে কবর থেকে তার মরদেহ আবার তুলবো এবং তদন্ত করবো।

ডাকসুর সাবেক ভিপি নূরের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলার বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা এখনো মামলার ফাইল পাইনি। পেলে তদন্ত কাজ শুরু করবো। এক্ষেত্রে তদন্তভার সিনিয়র কোনো নারী অফিসারকে দেওয়া হবে।