৩০ বছর ভারতীয় সেনাবাহিনীতে, এখন বলা হচ্ছে বাংলাদেশি!

৩০ বছর ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কর্মরত থাকার পর অবসরে যাওয়া এক ব্যক্তিকে অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসী বলে অভিযোগ করেছে আসাম পুলিশ।

সেনাবাহিনীর জুনিয়র কমিশনড অফিসার (জেসিও) হিসেবে অবসরে যাওয়া মোহম্মদ আজমল হকের বিরুদ্ধে আগামী ১৩ অক্টোবর ফরেনার ট্রাইব্যুনালে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে বলে এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়।

আসাম পুলিশের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ইতিমধ্যে ওই সাবেক কর্মকর্তাকে একটি নোটিস পাঠানো হয়েছে।

নোটিসে বলা হয়ছে, ১৯৭১ সালে কোনও নথিপত্র ছাড়াই ভারতে এসেছিলেন আজমল। প্রশ্ন উঠেছে, একজন ব্যক্তি ৩০ বছর ধরে ভারতীয় সেনায় কাজ করে গেলেন, অবসরও নিলেন, এত দিন পর তা হলে তার নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠছে কেন?

আসামরে গুয়াহাটি থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরবর্তী ছায়াগঞ্জে বসবাস করা এই সাবেক সেনা কর্মকর্তা গত বছর অবসরে যান।

তিনি বলেন, আমি খুবই শোকার্ত। এমন কাণ্ডে প্রচুর কেঁদেছি। হৃদয় ভেঙে গেছে। ৩০ বছর ধরে ভারতীয় সেনায় কাজ করার পর আমাকে এমনভাবে অপমান করা হলো।

সাবেক সেনা কর্মকর্তা আজমল বলেন, আমি যদি বাংলাদেশি অবৈধ অভিবাসিই হবো; তবে কিভাবে ৩০ বছর ধরে সেনাবাহিনীতে কাজ করেছি। ৱ

এর আগে ২০১২ সালেও তার নাগরিকত্ব নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে নোটিস পাঠানো হয়েছিল। সে সময় প্রামাণ্য নথিপত্র জমা দিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনাল আদালতে।

আজমল বলেন, সেনায় কাজ করতে গেলে পুলিশ ভেরিফিকেশন বাধ্যতামূলক। আমার ক্ষেত্রেও ভেরিফিকেশন হয়েছিল। এত কিছুর পরও এভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে কেন আমাকে।

শুধু তিনি নয় এর আগে তার স্ত্রী মমতাজ বেগমকেও ট্রাইব্যুনালের কাছে নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে হয়েছে বলে জানান সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা।

ইতিমধ্যেই বিষয়টি জানিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রাষ্ট্রপতি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছেন।

আজমল হকের বিষয়টি নিয়ে এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র সমালোচনার ঝড় উঠেছে। তবে সার্বিক ব্যাপারে এখনও আসাম পুলিশের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

বাংলাদেশ সময়: ১০৪০ ঘণ্টা, ০২ অক্টোবর ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এসডিএম