ভারতে কোয়ারেন্টিনের ছাড়পত্র নিতে গিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীর ধর্ষণের শিকার তরুণী

গোটা বিশ্বেই অভিশাপ রূপে দেখাদিয়েছে মহামারী করোনা। ভারতেও ঠিক তাই তবে এই করোনার আড়ালে দেশটি তে ঘটেছে অনেক অপ্রীতিকর ঘটনা। ভারতের তিরুবনন্তপুরমের পানগোডে পুলিশ এক জুনিয়র স্বাস্থ্য পরিদর্শককে গ্রেপ্তার করেছে। কোয়ারেন্টিন থেকে মুক্তির ছাড়পত্র নিতে গিয়ে নিজের বাড়িতে তরুণীকে ধর্ষণ করার দায়ে তাকে সোমবার সকালে গ্রেপ্তার করে স্থানীয় পুলিশ।

ধর্ষণের শিকার ওই তরুণী কুলাথুপুজারের স্থানীয় বাসিন্দা। তিনি মালাপুপুরে কর্মস্থল থেকে ফিরে আসার পরে থেকেই নিজ বাড়িতে কোয়ারেন্টিনে ছিলেন। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তি প্রদীপ কুলাথুপুজার প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের স্বাস্থ্য পরিদর্শক।

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি গত ২ সেপ্টেম্বর পঙ্গোড থানা সীমান্তের ভরতহন্নুরে স্বাস্থ্যকর্মী প্রদীপের ভাড়া বাসায় ঘটেছিল। প্রদীপকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ (ধর্ষণের শাস্তি) ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী ওই তরুণী মালাপুপুরে গৃহপরিচারিকা হিসেবে কাজ করতেন। আগস্টের শেষে কুলাথুপুঝায় এসেছিলেন। এরপর তাকে নিজের বাড়িতে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নেওয়া অ্যান্টিজেন পরীক্ষার সময় ফল নেগেটিভ আসে। এরপর কোয়ারেন্টিন থেকে মুক্তির ছাড়পত্র সংগ্রহের জন্য ওই তরুণীকে নিজের ফোন নম্বর দেন স্বাস্থ্যকর্মী প্রদীপ।

বৃহস্পতিবার তিনি ওই তরুণীকে নিজের বাসায় নিমন্ত্রণ করেছিলেন। তারপর বাসায় যেতেই যৌন নির্যাতন করেন তিনি। ধর্ষণ শেষে কারো কাছে এই ঘটনার কথা না বলতে হুমকিও দেন। কিন্তু ওই তরুণী ভেলরারাডা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর তাকে সোমবার সকালে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে প্রদীপ অপরাধ স্বীকার করেছেন। তাকে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করা হবে এবং একটি মেডিক্যাল পরীক্ষাও করা হয়েছিল।

Scroll to Top