করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে নাজেহাল যে বিশ্ববাসী তা না বললেই নয় আর এদিকে করোনার নতুন ধরন শনাক্তের পর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে ইউরোপজুড়ে। এই অবস্থায় গত রোববার থেকেই ব্রিটেনের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এদিকে করোনার ভয়াবহতায় ধুঁকছে যুক্তরাজ্যসহ পুরো ইউরোপ। তার মধ্যে মরার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে এসেছে নতুন ধরনের কোভিড ভাইরাস ।
যে ভাইরাস ক্ষণে ক্ষণে রূপ বদল করতে পারে জন্ম দিতে পারে নতুন ভাইরাসের। নতুন ধরনের এই কোভিড ভাইরাস ৭০ শতাংশ সংক্রামক। নতুন এই ভাইরাসে ডেনমার্কের ৯ জন, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়ামে আরো বেশ কয়েকজন আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইইউ। তাই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে সব রকমের বিমান ও স্থল যোগাযোগ।
বিশেষ করে পণ্যপরিবহনে ফ্রান্সের সঙ্গে লাগোয়া দেশটির বর্ডার বন্ধ ঘোষণার ২৪ ঘন্টা পর আবার চালু করেছে দেশটির সরকার। জার্মানিতে এখনো এই নতুন ভাইরাসের কেউ আক্রান্ত না হলেও আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ।
এক মহিলা বলেন, দেখুন আমি চ্যারিটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে সেবিকা হিসেবে কর্মরত, করোনাভাইরাসে যারা আক্রান্ত তাদেরও চিকিৎসা দিয়ে থাকি, কিন্তু যুক্তরাজ্যের নতুন জাতের কোভিড ভাইরাসের কথা শুনে আতঙ্ক আরও বেড়েছে। জানি না, টিকাটা এ ভাইরাসের বিরুদ্ধে কতটা কার্যকর হবে।
তাই বাঁচতে হলে মাস্ক পরতে হবে, দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং সবার সঙ্গে যোগাযোগ কমিয়ে দিতে হবে। এ ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। এই অবস্থায় সাধারণ অনেকই নতুন ধরনের এই ভাইরাসের গতিবিধি পর্যবেক্ষণের মত দেন। বলেন, এই মুহূর্তে ইইউ থেকে ব্রিটেনকে বিচ্ছিন্নের সিদ্ধান্ত সঠিক।
একজন জানান, যুক্তরাজ্যে উৎপত্তি হওয়া ভয়ংকর রূপবদল করা কোভিডের কথা শুনেছি। তবে এখনও বোঝা যাচ্ছে না, এটা কতটা ভয়ংকর।
তবে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে আকাশ ও স্থল যোগাযোগ বন্ধের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই।সবকিছু ঠিক থাকলে ২৭ তারিখে জার্মানি ও ফ্রান্সে করোনার টিকা দেওয়া শুরু হবে।