মেক্সিকো থেকে আমদানিকৃত “বিষাক্ত” হ্যান্ড স্যানিটাইজারে যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কতা

মেক্সিকো থেকে আমদানি করা অ্যালকোহল-ভিত্তিক হ্যান্ড স্যানটাইজারের অর্ধেকের বেশির মধ্যে ক্ষতিকর পরিমাণে বিষাক্ত উপাদান রয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষ। যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যাড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন মেক্সিকো থেকে হ্যান্ড স্যানিটাইজার আমদানি করার বিষয়ে কড়াভাবে সতর্কতা জারি করেছে।

স্যানিটাইজারের কয়েকটি বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে তাতে ইথানল আছে। কিন্তু বাস্তবে তাতে পাওয়া গেছে মেথানল অথবা উড অ্যালকোহল। মেথানল যাকিনা চামড়ার ভেতর দিয়ে শরীরে প্রবেশ করলে তা ভয়ঙ্কর বিষ হিসেবে কাজ করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষ বলছে, মেক্সিকোর কয়েকটি হ্যান্ড স্যানিটাইজারে ওয়ান-প্রোপানল নামের আরো একটি বিষাক্ত ও ভয়ঙ্কর উপাদান পাওয়া গেছে।

জুডি ম্যাকমিকিন যিনি যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষের রেগুল্যাটরি অ্যাফেয়ার্সের অ্যাসোসিয়েট কমিশনার, তিনি বলেন, “করোনাভাইরাসের সময়ে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবহার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে পানি ও সাবান যেখানে নেই, সেখানে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের বিকল্পও নেই। এই পরিস্থিতি নিম্নমানের ও বিষাক্ত পদার্থের স্যানিটাইজার বাজারে এসেছে, যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।”

এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মেক্সিকো থেকে আমদানি করা হ্যান্ড স্যানিটাইজারগুলোর মধ্যে ৮৪ শতাংশই যুক্তরাষ্ট্রের নীতি মানেনি। সেখানে আরো বলা হয়, “অর্ধেকের বেশি স্যাম্পলে মেথানল এবং ওয়ান-প্রোপানলের মতো ক্ষতিকর ও বিষাক্ত উপাদান পাওয়া গেছে।”

এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু জানুয়ারি মাসেই হ্যান্ড স্যানিটাইজারের কারণে সৃষ্টি হওয়া সমস্যার অন্তত ৯০০টি অভিযোগ জমা হয়েছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে শিশু-কিশোরদের এই সমস্যা হয়েছে। মহামারির সময়ে যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষ নির্দিষ্ট মান স্পর্শ না করলে হ্যান্ড স্যানিটাইজার কিনতে নিষেধ করেছে। তারা ক্ষতিকর উপাদান আছে এ রকম হ্যান্ড স্যানিটাইজারের তালিকাও করে দিয়েছে।

সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের মতে করোনাভাইরাস মারার জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজারে অবশ্যই যথেষ্ট মাত্রার অ্যালকোহল থাকতে হবে। এর সাথে অন্তত ৬০ শতাংশ ইথানল অথবা ৭০ শতাংশ ইসোপ্রোপানলও থাকতে হবে। একই সাথে মানব শরীরের জন্য নিরাপদ হতে হবে।

সূত্রঃ সিবিএস নিউজ