ধসে পড়বে যুক্তরাষ্ট্রের বিদ্যুৎ–ব্যবস্থা!

বিশেষজ্ঞরা মার্কিন কংগ্রেসকে সাবধান করে বলেছে, উত্তর কোরিয়ার সম্ভাব্য তড়িৎ চুম্বকীয় স্পন্দন (ইএমপি) হামলার বিষয়টিকে অগ্রাহ্য করছে যুক্তরাষ্ট্র। অথচ এ ধরনের হামলা হলে যুক্তরাষ্ট্রের পুরো বিদ্যুৎ সরবরাহব্যবস্থা ধসিয়ে দিতে পারে। এক বছরের মধ্যে মারা পড়তে পারে দেশটির ৯০ শতাংশ মানুষ। মার্কিন কংগ্রেসের সাবেক তড়িৎ চুম্বকীয় স্পন্দনবিষয়ক কমিশনের চেয়ারম্যান উইলিয়াম গ্রাহাম এবং এই কমিশনের চিফ অব স্টাফ
পিটার ভিনসেন্ট প্রাই সম্প্রতি প্রতিনিধি পরিষদের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাবিষয়ক উপকমিটির শুনানিতে কংগ্রেসকে সতর্ক করেন।

তাঁরা বলেন, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের পক্ষ থেকে পারমাণবিক ইএমপি হামলাই যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ‘সবচেয়ে বড়’ হুমকি এবং সরকার এখনো এ বিষয়টিকে ‘মেনে নেয়নি’। তাঁরা এ সময় প্রতিনিধি পরিষদকে বিদ্যুৎ সরবরাহব্যবস্থার সুরক্ষায় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।

এর আগে গত মাসে দ্য হিল পত্রিকায় মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে রিপাবলিকান দলের সাবেক সদস্য কার্ট ওয়েলডন লেখেন, পারমাণবিক ইএমপি হামলা যুক্তরাষ্ট্রের সব ইলেকট্রনিক যন্ত্র ধ্বংস করে দিতে পারে। এতে উড়োজাহাজগুলো বিধ্বস্ত হবে, ট্রেনসহ অন্যান্য যানবাহন থেমে যাবে এবং বিদ্যুৎ সরবরাহব্যবস্থা ধসে যাবে। অনাহার, অসুস্থতা আর সামাজিক বিচ্যুতির কারণে লাখো মানুষ মারা পড়বে।

সিএনএন জানায়, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন গত রোববার বলেছেন, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার পাল্টাপাল্টি সামরিক শক্তি প্রদর্শন চললেও যত দিন সম্ভব কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবেন তিনি। সিএনএনের টিভি অনুষ্ঠান ‘স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন’-এ রেক্স টিলারসন বলেন, উত্তর কোরিয়ার ‘প্রথম বোমা পড়ার আগ পর্যন্ত কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চলবে।’

বাংলাদেশ সময়: ০৯১৫ ঘণ্টা, ১৭ অক্টোবর   ২০১৭

লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এস