বন্যা ও ভূমিধসে ইন্দোনেশিয়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৩৩

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দ্বীপ রাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়ায় ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধ্বসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩৩ জনে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন বহু মানুষ। নিখোঁজদের উদ্ধারে চলছে তৎপরতা। দুর্যোগ কবলিত এলাকার কয়েক হাজার বাসিন্দাকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। দুর্গতদের সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো। এদিকে, বন্যায় প্রতিবেশী দেশ পূর্ব তিমুরেও মারা গেছে ২৭ জন।

সোমবার (৫ এপ্রিল) ইন্দোনেশিয়ার দক্ষিণপূর্বাঞ্চলে সারাদিনই চলে উদ্ধার তৎপরতা। ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যায় উদ্ধারকারীদলের সদস্যরা।

অঞ্চলটিতে রোববারের (৪ এপ্রিল) ভারী বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধ্বসে হতাহতের সংখ্যা বাড়ছেই। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন বহু মানুষ।

কর্তৃপক্ষ বলছে, বন্যা ও ভূমিধ্বসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। বন্ধ রয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ। বাড়িঘর ও রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। সবকিছু হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন অনেকে।

ক্ষতিগ্রস্ত একজন বলেন, সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। নিজের জীবনটাই শুধু বাঁচাতে পেরেছি। বাসায় থাকলে কী হতো জানি না।

ইন্দোনেশিয়ায় আগামী এক সপ্তাহ ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। এতে করে পরিস্থিতির আরও অবনতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বন্যাকবলিতদের সরকারি নির্দেশনা মেনে চলার আহবান জানানোর পাশাপাশি সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো।

তিনি বলেন, এই দুর্যোগপূর্ণ অবস্থায় যারা স্বজন হারিয়েছেন আমি তাদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। আমি আপনাদের বর্তমান অবস্থা বুঝতে পারছি। একটা কঠিন সময় পার করছেন আপনারা। বন্যাকবলিতদের সহায়তায় কোনো ত্রুটি রাখা হবে না।

ইন্দোনেশিয়ার পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশ পূর্ব তিমুরেও দেখা দিয়েছে ভয়াবহ বন্যা। সেখানেও পানির তোড়ে ভেসে গেছে বহু ঘরবাড়ি। হতাহত হয়েছেন অনেকে। এখন পর্যন্ত দেশটিতে ২৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।