গাজার আল-শিফা হাসপাতালকে ‘মৃত্যুপুরী’ বললো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

ইসরায়েলের সেনাদের অবরোধের কারণে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল এখন ‘মৃত্যুপুরীতে’ পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এ জন্য হাসপাতালে এখনো যারা অবস্থান করছেন তাদের সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। আজ রোববার (১৯ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

গতকাল শনিবারই আল-শিফা হাসপাতাল থেকে অধিকাংশ মানুষ অন্যত্র চলে যান। এরপর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নেতৃত্বে একটি পর্যবেক্ষক দল হাসপাতালটি পরদর্শেন যায়। পরিদর্শন শেষে হাসপাতালটি নিয়ে এই মন্তব্য করেছেন তারা।

ইসরাইল আল-শিফা হাসপাতাল নিয়ন্ত্রণে নেয়ার পর, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানবিক পরিস্থিতি প্রতিনিধি দলটি সেটি পরিদর্শন করে। সেখানে গোলা হামলা ও গুলির চিহ্ন দেখতে পেয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে ইসরাইলি বাহিনী আল-শিফা হাসপাতাল থেকে সবাইকে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়ার পর হাসপাতালটিতে এখনও ২৫ জন স্বাস্থ্যকর্মী এবং ৩২ শিশুসহ ২৯১ জন রোগী রয়েছেন বলে জানিয়েছে ডব্লিউএইচও।

সংস্থাটির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হাসপাতালটিতে শেলিং এবং গুলির চিহ্ন স্পষ্ট ছিলো। দলটি হাসপাতালের প্রবেশপথে একটি গণকবর দেখেছিল এবং সেখানে ৮০ জনেরও বেশি লোককে কবর দেয়া হয়েছে।

ছয় সপ্তাহ ধরে বিশুদ্ধ পানি, জ্বালানি, ওষুধ, খাদ্য এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সাহায্যের অভাবের কারণে গাজার সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে উন্নত হাসপাতালটি মূলত একটি চিকিৎসা সুবিধা হিসেবে এর কাজ বন্ধ করে দিয়েছে।

 

ডব্লিউএইচও প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেইসাস এক্সে (সাবেক টুইটারে) বলেছেন, আমরা একটি জরুরি স্থানান্তর পরিকল্পনা তৈরি করতে অংশীদারদের সাথে কাজ করছি এবং এই পরিকল্পনার সম্পূর্ণ সুবিধার জন্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতার বিষয়ে জানতে চেয়েছেন।

আমরা স্বাস্থ্য এবং বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য আহবান জানিয়ে যাচ্ছি, উল্লেখ করে ক্ষোভ জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি অসহনীয় এবং অযৌক্তিক। যুদ্ধবিরতি চাই। এখনই চাই।

গাজার হামাস সরকার জানায়, ইসরাইলি সেনাবাহিনীর অবিরাম বিমান ও স্থল অভিযানে গাজায় ১২ হাজারের বেশি লোক নিহত হয়েছে। যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক এবং পাঁচ হাজারের বেশি শিশু রয়েছে।