লুলার বক্তব্য নিয়ে ইসরাইল-ব্রাজিল টানাপড়েন

ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের চলমান গণহত্যাকে হলোকাস্টের সঙ্গে তুলনা করে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা নিয়ে ব্রাসিলিয়ার সঙ্গে তেল আবিবের তীব্র কূটনৈতিক টানাপড়েন শুরু হয়েছে।

ইসরাইল সরকার লুলা দা সিলভাকে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘোষণা করেছে এবং ব্রাজিল সরকার তেল আবিব থেকে তার রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

লুলা রোববার এক বক্তব্যে বলেছিলেন, “গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনি জনগণের সঙ্গে যা করা হচ্ছে তা ইতিহাসে আর কখনও ঘটেনি। অবশ্য এরকম ঘটনা আরেকবার ঘটেছিল [তখন] যখন হিটলার ইহুদিদের হত্যা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।”

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তৎকালীন জার্মান শাসক এডলফ হিটলারের নির্দেশে ৬০ লাখ ইহুদিকে হত্যা করা হয়েছিল বলে যে কল্পকাহিনী প্রচার করা হয় তা ইতিহাসে ‘হলোকাস্ট’ নামে চিহ্নিত।

ইসরাইলি যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু লুলার বক্তব্যকে ‘অপমানজনক ও গুরুতর’ বলে অভিহিত করেছেন। এছাড়া, ইসরাইলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরাইল কাতজ গতকাল (সোমবার) তেল আবিবে নিযুক্ত ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে বলেছেন, লুলা তার বক্তব্য প্রত্যাহার করে না নেয়া পর্যন্ত ইসরাইলে প্রবেশ করতে পারবেন না।

এর পরপরই লুলা তার বক্তব্য প্রত্যাহার করার পরিবর্তে নিজের রাষ্ট্রদূতকে ইসরাইল থেকে প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। ব্রাজিলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শিগগিরই ব্রাসিলিয়ায় নিযুক্ত ইসরাইলি রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হবে।

কোনো কোনো সংবাদ সূত্র অবশ্য এ খবরও প্রকাশ করেছে যে, ব্রাজিল সরকার দেশটি থেকে ইসরাইলি রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের আদেশ দিয়েছে। ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ও ইসলামি জিহাদসহ সবগুলো প্রতিরোধ সংগঠন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভার রোববারের বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছে।

Scroll to Top