ইন্দোনেশিয়ার যুবতীর স্পর্শকাতর অঙ্গে হাত বাংলাদেশী শ্রমিকের, অতঃপর…

ইন্দোনেশিয়ার এক নারী গৃহকর্মী। প্রথমে তার কাছে তার ফোন নম্বর চাইলো বাংলাদেশী নৌবাণিজ্য বিষয়ক একজন শ্রমিক হান্নান (৩২)। এরপরই পিছন থেকে সে ওই গৃহকর্মীকে জড়িয়ে ধরলো।

আপত্তিজনকভাবে স্পর্শ করলো তার শরীরের স্পর্শকাতর অঙ্গ। নিজের বুকের মধ্যে একেবারে লুফে নিলো ওই গৃহকর্মীকে। এরপর তার পিছু পিছু লিফট লবি পর্যন্ত গেল হান্নান। সেখানেও ওই গৃহকর্মীর মোবাইল ফোন নম্বর চায় সে।

এবারও নিজের দু’হাত দিয়ে জাপটে ধরে ওই নারীকে। তাকে যৌন নির্যাতন করে। মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত বাংলাদেশী হান্নানকে মঙ্গলবার এ অভিযোগে ১১ মাসের জেল দিয়েছে আদালত। সঙ্গে তিন ঘা বেত্রাঘাত দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

গত ২রা সেপ্টেম্বর তেবান গার্ডেন রোডে ওই যৌন হয়রানির দু’টি অভিযোগ স্বীকার করে নেয় হান্নান। এরপর আদালত তার বিরুদ্ধে ওই রায় দেয়।

পুলিশের ডেপুটি প্রসিকিউটর গাইল ওয় বলেছেন, নির্যাতিত যুবতী ইন্দোনেশিয়ার। তার বয়স ৩২ বছর। ঘটনার সময় মিয়ানমারের আরেকজন গৃহকর্মী লিয়ানি (২৫) অবস্থান করছিলেন তেবান গার্ডেন রোড এলাকার খেলার মাঠে।

এ সময় তাদের সঙ্গে ছিল দুটি শিশু। এ সময় ওই যৌন নির্যাতনের শিকার নারীকে নিয়োগকারী ছিলেন বিদেশে। তাই তিনি অস্থায়ীভাবে অবস্থান করছিলেন লিয়ানির নিয়োগকারী একজন আত্মীয়ের বাসায়।

সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তারা সবাই খেলার মাছ থেকে বেরিয়ে পড়েন। বাসার উদ্দেশে হাঁটা পথে চলতে থাকেন। এ সময় ইন্দোনেশিয়ার ওই গৃহকর্মীকে পিছন থেকে ডাকে হান্নান। নিজের ফোনটি তার দিকে এগিয়ে দিতে থাকে।

ওই গৃহকর্মী তাকে উপেক্ষা করে হেঁটে যেতে থাকেন। তখন পিছন থেকে একবার হান্নান তাকে জাপটে ধরে শরীরের স্পর্শকাতর অঙ্গে হাত দেয়।

এ অবস্থায় নিজেকে রক্ষা করতে ভয়ে ওই যুবতী সামনে হেঁটে যেতে থাকেন। চিৎকার করে তাকে স্পর্শ না করতে হান্নানের প্রতি আহ্বান জানাতে থাকেন তিনি। লিফটের লবিতে নির্যাতিত যুবতী একটি বালিকার হাত ধরে অপেক্ষা করতে তাকেন।

অন্যদিকে লিয়ানি তার মনিবের ছেলেকে পিঠে বহন করে অপেক্ষা করেন। সেখানে ইন্দোনেশিয়ার ওই যুবতীর পাশে গিয়ে দাঁড়ায় হান্নান। তার ফোন নম্বর চায়। বাধ্য হয়ে ওই যুবতী অন্যদিকে ঘুরে দাঁড়ান।

এবার পিছন দিক থেকে হান্নান তাকে আলিঙ্গন করে। আবার স্পর্শ করে তার শরীর। তার গ্রাস থেকে রক্ষা পেতে ওই যুবতী নিচু হয়ে নিজের বুকে কাপড় তুলে সম্ভ্রম রক্ষার চেষ্টা করেন। এ দৃশ্য প্রত্যক্ষ করেন লিয়ানি।

এ সময় নির্যাতিত যুবতীর মনিবের মেয়ে কান্না শুরু করে। অবশেষে এই চারজন লিফটে আরোহণ করে। ফিরে যান বাড়ি। ঘটনাটি লিয়ানি তার নিয়োগকারীদের জানান। তখনও কাঁদছিলেন নির্যাতিত যুবতী। সঙ্গে সঙ্গে তারা নিচে নেমে যান।

নির্যাতিত যুবতী হান্নানকে সনাক্ত করেন। তবে হান্নান তাকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগ অস্বীকার করে। তবে সে পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু পথচারীরা তাকে ধরে ফেলে। আদালত ওই সব ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখে মঙ্গলবার শাস্তি ঘোষণা করে। সূত্র: মানবজমিন।

বাংলাদেশ সময়: ১০০৯ ঘণ্টা, ৮ নভেম্বর, ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/পিকে