মালদ্বীপে প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুর দলের জয়

মালদ্বীপের পার্লামেন্ট নির্বাচনে ৯৩টি আসনের মধ্যে ৮৬টি আসনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬৬টিতে জয় পেয়েছে প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুইজ্জুর দল পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেস (পিএনসি)।

গতকাল রোববার (২১ এপ্রিল) সকাল থেকে দেশটিতে পার্লামেন্ট নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়। ভোট গ্রহণ চলে প্রায় সাড়ে ৯ ঘণ্টা। এরমধ্যেই বেশির ভাগ আসনের ফলাফল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

মলদ্বীপের পার্লামেন্ট নির্বাচন বিশেষ গুরুত্ব ছিল আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের কাছে। এবারের নির্বাচনকে প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুইজ্জুর জন্য কঠিন পরীক্ষা বলে মনে করা হচ্ছিল। কারণ চীনপন্থী মুইজ্জু প্রেসিডেন্ট হলেও পার্লামেন্টের নিয়ন্ত্রণ ছিল তার পূর্বসূরি ভারতপন্থী ইব্রাহিম মোহামেদ সালেহর দল মালদিভিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টির (এমডিপি) হাতে। ফলে চীনপন্থী মুইজ্জুর দল পার্লামেন্টের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারবে কি না, এটাকে তার জন্য চ্যালেঞ্জ বলে মনে করা হচ্ছিল।

দেশটির পার্লামেন্ট পিপলস মজলিশের নিয়ন্ত্রণ কার হাতে থাকবে, তা নির্ধারণে গতকাল রোববার সকাল থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। প্রায় সাড়ে ৯ ঘণ্টা ভোটগ্রহণ চলে। ভোটের পর বেশিরভাগ আসনের ফলাফল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তাতে মুইজ্জুর দল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভারতবিরোধী অবস্থান প্রকাশ করে বিজয়ী হন মোহামেদ মুইজ্জু। তিনি মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিনের মতো চীনপন্থী অবস্থান নেন। দুর্নীতির অভিযোগে ইয়ামিনের ১১ বছরের কারাদণ্ড হয়েছিল। তবে গত সপ্তাহে আদালত এ সাজা বাতিল করলে তিনি মুক্তি পান।

চলতি মাসে যখন পার্লামেন্ট নির্বাচনের জন্য পুরোদমে প্রচারণা চলছিল, তখন মালদ্বীপে অবকাঠামো নির্মাণে চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বড় ধরনের চুক্তি করেছেন মুইজ্জু। তাঁর প্রশাসন মালদ্বীপে থাকা ভারতীয় সেনাদের দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে মুইজ্জুর একজন জ্যেষ্ঠ সহকারী এএফপিকে বলেন, এবারের নির্বাচনের প্রচারে ভূরাজনীতির একটি বড় ধরনের প্রভাব ছিল। ভারতীয় সেনাদের দেশে ফেরত পাঠানোর প্রতিশ্রুতির মধ্য দিয়ে তিনি (মুইজ্জু) ক্ষমতায় এসেছেন এবং তিনি এ নিয়ে কাজ করছেন।