israel12

মার্কিন কংগ্রেসে ভাষণ দেবেন নেতানিয়াহু

মার্কিন কংগ্রেসে ভাষণ দেয়ার জন্য ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে শিগগিরই মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের রিপাবলিকান স্পিকার মাইক জনসন আমন্ত্রণ জানাবেন। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দেন জনসন।

শুক্রবার (২৪ মে) বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানায়, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় হামাস-ইসরাইল চলমান যুদ্ধের মাঝে মার্কিন কংগ্রেসে আমন্ত্রিত হচ্ছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। শিগগিরই কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেয়ার জন্য তাকে আমন্ত্রণ জানানো হবে, বলে ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার মাইক জনসন।

নেতানিয়াহুর সম্ভাব্য এই সফর ইসরাইল সরকারের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের জোরালো সমর্থন প্রদর্শন করবে বলেও জানান তিনি। নির্বাচনের আগে মাইক জনসনের এমন ঘোষণায় পরিবর্তন হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতির পট। এ পট পরিবর্তন নিয়ে চুল-চেরা বিশ্লেষণ চলছে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মাঝে। তাদের মতে, নির্বাচনকে সামনে রেখে নেতানিয়াহুকে আমন্ত্রণের পদক্ষেপ নিয়েছে রিপাবলিকানরা।

আসন্ন নির্বাচনে ইসরাইলি ও ভূখণ্ডটির সমর্থকদের সমর্থন ধরে রাখার আশায় রাজনীতির এই নতুন ছক কষছে বিরোধী দল। এদিকে, সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, তিনি ক্ষমতায় থাকলে হামাস-ইসরাইল সংঘাত কখনও শুরুই হতো না। তার দলের এমন পদক্ষেপ নিয়ে উঠেছে সমালোচনার ঝড়।

প্রায় আট মাস ধরে চলা হামাস-ইসরাইল সংঘাতের শুরু থেকেই ইসরাইলের মিত্র দেশ হিসেবে পরিচিত যুক্তরাষ্ট্র। অর্থের পাশাপাশি সামরিক সহায়তা দিয়ে প্রতিনিয়ত দ্ব্যর্থহীন নগ্ন সমর্থন দিচ্ছে বাইডেন প্রশাসন। এতে বারবার নিজদেশে তোপের মুখে পড়েন ডেমোক্র্যাটরা। এবার রিপাবলিকানদের সমর্থনে অনিশ্চয়তার দ্বারপ্রান্তে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের জীবন।

এদিকে, চলতি সপ্তাহে অন্তত দুটি বড় ধাক্কার মুখোমুখি হয় তেল আবিব। একদিকে ইউরোপের তিন দেশের ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেয়ার ঘোষণা। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রধান কৌঁসুলি করিম খানের ইসরাইল ও হামাসের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন। এমন প্রেক্ষাপটে মিত্রদেশ যুক্তরাষ্ট্র সফরের নেতানিয়াহুর এ আমন্ত্রণ দখলদারদের জন্য খানিকটা স্বস্তির বলে মনে করছেন অনেকেই।

Scroll to Top