মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নিন্দায় জাতিসংঘ মহাসচিব

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলা চালানোর জন্য দেশটির সেনাবাহিনীর নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক এক বিবৃতিতে এ সমালোচনা করেন।

সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, রাখাইনসহ মিয়ানমারের বিভিন্ন জায়গায় দেশটির সেনাবাহিনী বেসামরিকদের ওপর অভিযান চালিয়েছে। এতে অসংখ্য বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়। জাতিসংঘ মহাসচিব এ হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। একইসঙ্গে জান্তা ও আরাকান আর্মির সংঘাতের মাঝখানে আটকে পড়া রোহিঙ্গাদের ওপর ‘চলমান নিধন’ বন্ধেরও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বিবিসিকে জানিয়েছে, দু’তিন দিন ধরে গ্রামটিতে তাণ্ডব চালিয়েছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। গ্রামের মানুষদের চোখ বেঁধে মারধর করেছে। তাদের কারও কারও শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়েছে। আবার কাউকে প্রস্রাব পান করতে বাধ্য করেছে। তারা মূলত আরাকান আর্মির ( এএ) সমর্থকদের খুঁজতে গ্রামটিতে ঢুকেছিল।

মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত বেসামরিক সরকারের প্রতিনিধিত্বকারী জাতীয় ঐক্য সরকার একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, ১৫ বছর থেকে ৭০ বছর বয়সী ৫০ জনকে সহিংসভাবে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। তবে আরাকান আর্মির ধারণা এই সংখ্যা ৭০ জনের বেশি।

এই ঘটনা মিয়ানমারের তিন বছরের গৃহযুদ্ধে সংঘটিত নৃশংস ঘটনাগুলোর একটি। তবে মিয়ানমারের জান্তা সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ক্ষমতা দখলকারী জান্তাকে উৎখাত করার লক্ষ্যে একটি সম্মিলিত অভিযানে অংশে নিতে অন্যান্য জাতিগত বিদ্রোহীদের সঙ্গে যোগ দেয় আরাকান আর্মি। আরাকান আর্মির সদস্যরা বর্তমানে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইরত বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কার্যকর।

Scroll to Top