ট্রাম্পের আমলে কোন পথে হাঁটবে যুক্তরাষ্ট্র, যে আশায় ভারত

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের আরও একটি নতুন অধ্যায় শুরু হতে যাচ্ছে সোমবার (২০ জানুয়ারি) থেকে। নরেন্দ্র মোদির ‘পুরনো বন্ধু’ ডোনাল্ড ট্রাম্প ফের প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেয়ার পর ভারতের বিষয়ে নতুন কী সিদ্ধান্ত নেবেন, তা দেখতে উদগ্রীব নয়াদিল্লি।

ট্রাম্পের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পাননি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, যা কিছুটা হলেও ধাক্কা দিয়েছে সাউথ ব্লককে- এমনটাই মনে করছেন কূটনৈতিক শিবিরের একাংশ। তবে মোদি না থাকলেও আমন্ত্রিত ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক বিষয়গুলো নিয়ে রিপাবলিকান নতুন আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে ধারবাহিক বৈঠক করবেন জয়শঙ্কর। সীমান্ত ইস্যুসহ প্রতিবেশী বিভিন্ন দেশকে নিয়ে ভারতের উদ্বেগের দিকটি তিনি নতুন মার্কিন প্রশাসনের কাছে ঘরোয়াভাবে তুলে ধরবেন বলে জানা গেছে।

এছাড়া রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল রফতানির ক্ষেত্রে আনা যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞায় ভারত যে মহাবিপদে পড়তে পারে, সেই প্রসঙ্গও বিস্তারিতভাবে জানাবেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

ট্রাম্প প্রসঙ্গে আপাতত আশাবাদী থাকতে চেয়ে জয়শঙ্করের বক্তব্য, ট্রাম্পের শপথগ্রহণ একটি বিশেষ ঘটনা। আশা করা যায়, বিশ্ব ব্যবস্থায় এর বৃহত্তর ভূমিকা থাকবে।

ট্রাম্পের দ্বিতীয়বার ফিরে আসাকেই এর কারণ হিসেবে না দেখে নয়াদিল্লি বলছে, আন্তর্জাতিক মন্থনের একটা ফলাফল হল ট্রাম্পের ফিরে আসা। জয়শঙ্করের ভাষ্য, ‘এই প্রক্রিয়ার অনেক স্তর রয়েছে, অনেক মাত্রা রয়েছে। অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক ক্ষমতার নতুন করে ভারসাম্য তৈরির সম্ভাবনাও রয়েছে। যুদ্ধ, অতিমারি, পরিবেশ দূষণ মাঝের সময়টাকে অস্থির করেছে। আবার রাষ্ট্রগুলোর পারস্পরিক নির্ভরতা বাড়াতে প্রযুক্তিও তার ন্যায্য ভূমিকা পালন করেছে।’

ট্রাম্পের হোয়াইট হাউসে পুনরাভিষেকের বিষয় সম্পর্কে জয়শঙ্কর মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির ভরকেন্দ্র এবার বদলাবে। ঐতিহ্যগতভাবে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক নেতৃত্বদান থেকে সরে ‘আমেরিকা প্রথম’ নীতিকেই তারা গ্রহণ করবে।

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কথায়, এখন আমরা সবাই সম্ভবত এক নতুন যুগের সম্মুখীন হতে চলেছি। যুক্তরাষ্ট্র হয়তো তার নিজের স্বার্থের দিকে তাকিয়ে বিদেশনীতি তৈরি করবে এবার। গোটা বিশ্বের ভালো-মন্দ নিয়ে মাথা ঘামাতে যাবে না। প্রতিযোগিতা বাড়বে বাণিজ্য ক্ষেত্রেও। অন্য রাষ্ট্রের সরকার নিয়ে খুঁটিনাটি পর্যবেক্ষণ (যুক্তরাষ্ট্রের) বন্ধ হবে।

Scroll to Top