পশুর মতো ব্যবহার রাম রহিমের, জানালেন বিচারক নিজেই

সাজা ঘোষণার আগে রাম রহিমের আইনজীবীও সাজা কমানোর জন্য আদালতে আবেদন করেন। তার দাবি ছিল, রাম রহিম বহু সামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত।

সোমবার সিবিআই-এর বিশেষ আদালত গুরমিত রাম রহিমকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেয়। নিজেরই আশ্রমের দুই সাধ্বীকে ধর্ষণে অভিযুক্ত হয়েছিলেন তিনি। গত শুক্রবারই দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর সোমবার দুটি পৃথক মামলায় ১০ বছর করে মোট ২০ বছরের কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছে সিবিআই আদালত।

এই সাজা ঘোষণার আগে রীতিমতো কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন বাবা রাম রহিম। বার বার ক্ষমা চাইছিলেন। কাঁদতে কাঁদতে কখনও ক্ষমা চাইলেন, আবার কখনও দাবি করলেন যে, আসলে তিনি নির্দোষ, ফাঁসানো হচ্ছে তাঁকে। সাজা ঘোষণার আগে রাম রহিমের আইনজীবীও কম সাজার জন্য আদালতে আবেদন করেন। তাঁর দাবি ছিল, রাম রহিম বহু সামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত, তাই তাঁর লঘু সাজা হওয়া উচিত। কিন্তু সেই আইনজীবীর কথায় কর্ণপাত না করে কঠোর শাস্তি দেন বিচারক জগদীপ সিংহ।

এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, বিচারকের কথায়, ‘‘নিজের আশ্রমের সাধ্বীদের পর্যন্ত ছাড়েননি রাম রহিম। তাঁদের সঙ্গে বন্য পশুদের মতো আচরণ করেছেন।’’ আর তাই রাম রহিমকে কোনও ভাবেই দয়া করা যায় না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন জগদীপ সিংহ। তিনি আরও জানান, রাম রহিমের মতো অপরাধীদের জন্য ধর্ম, আধ্যাত্মিকতা, সংস্কৃতি, সমাজ এবং বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়ে। আর এই কারণেই এই স্বঘোষিত ধর্মগুরুকে কোনও ভাবেই ছাড় দেননি বিচারক।

এই অপরাধগুলির কথা মাথায় রেখেই শুধু কারাদণ্ড না, দু’টি মামলায় ১৫ লক্ষ টাকা করে জরিমানা করেছে সিবিআই আদালত। অর্থাৎ মোট ৩০ লক্ষ টাকা দিতে হবে বাবাকে। এই টাকা পাবেন দুই ধর্ষিতা মহিলা। টাকা নিয়েও যথেচ্চাচার এবং অতিরিক্ত বিলাসবহুল জীবনযাপন করতেন রাম রহিম। আর সেই কথা মাথায় রেখেই এই বড় মাপের জরিমানা ঘোষণা করেছে আদালত।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৫ ঘণ্টা, ২৯ আগস্ট ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এসএফ