করোনা: জরিমানা ছাড়াই ভ্যাট রিটার্ন দাখিলের সুযোগ

প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে প্রভাবে যে সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গত মার্চ ও এপ্রিল মাসের মূল্য সংযোজন কর- মূসক বা ভ্যাট রিটার্ন দাখিল করতে পারেননি, তাদের বাড়তি সুযোগ দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সংস্থাটি কোন প্রকার সুদ ও জরিমানা ছাড়াই ভ্যাটের রির্টান দাখিলের সময় বাড়িয়েছে আগামী ৯ জুন পর্যন্ত।

আজ মঙ্গলবার এনবিআর সদস্য (মূসকনীতি) মো. মাসুদ সাদিক স্বাক্ষরিত বিশেষ আদেশে ভ্যাট রিটার্ন দাখিলের এই সময় বাড়ানো হয়েছে। আদেশে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক আপৎকালীন যেসব প্রতিষ্ঠান শুধুমাত্র মার্চে ও এপ্রিল মাসের ভ্যাট রিটার্ন দাখিল করতে পারেনি, সেসব প্রতিষ্ঠানের দাখিলপত্র পেশের সময়সীমা আগামি ৯ জুন পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। এ সময়ের মধ্য সুদ ও জরিমানা হতে অব্যাহতি দেওয়া হলো।

এর আগে গত ২০মে যে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা মহামারীর মতো আপৎকালীন নির্ধারিত সময়ের পরেও সুদ ও জরিমানা ছাড়াই ভ্যাট রিটার্ন দাখিল করার সুযোগ দিয়ে মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন সংশোধন করা হয়। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের অনুমতিক্রমে আইন বিচার বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এ অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে।

অধ্যাদেশে মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন ২০১২ এর ৬৪ নং ধারার ১ উপধারায় ক ও খ উপধারা সন্নিবেশিত হয়। যেখানে ক উপ-ধারায় বলা হয়েছে, ‘এ আইনের অধীনে ভিন্ন যাহাই কিছু থাকুক না কেন প্রাকৃতিক দুর্যোগ, মহামারী, দৈব-দূর্বিপাক বা যুদ্ধের কারণে জনস্বার্থে বোর্ড ও সরকারের অনুমতিক্রমে বর্ণিত আপৎকালীন সময়ের জন্য সুদ ও জরিমানা আদায় হতে অব্যাহতি প্রদান করে দাখিলপত্র পেশের সময়সীমা বৃদ্ধি করতে পারবে।

খ উপধারায় বলছে, ‘উপধারা ১ক এ উল্লেখিত আদেশ ভূতাপেক্ষ কার্যকারিতা প্রদান করা যাবে।’ মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন অনুযায়ী প্রতিমাসের ১৫ তারিখের মধ্যে রিটার্ন জমা না দিলে ১০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হয়।

প্রসঙ্গত, গত ১৫ মে পর্যন্ত সারা দেশে ভ্যাট রিটার্ন (এপ্রিল মাস) দাখিল হয়েছে ৪২ হাজার ৬০০; যা গত মাসের (মার্চ) প্রায় ১১ হাজার বেশি। এ সময় রাজস্ব আদায় হয়েছে হয়েছে তিন হাজার ৮৭৯ কোটি টাকা।

Scroll to Top