প্রাণঘাতী করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে আশার কথা শোনালো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

মহামারী করোনা তাণ্ডবে গোটা বিশ্বেই বিরাজ করছে অস্থিতিশীল পরিবেশ। এই ভাইরাসের তাণ্ডবে ইতোমধ্যে বিধ্বস্ত বিশ্বের অধিকাংশ দেশ। সবচেয়ে শোচনীয় অবস্থা আমেরিকা, ব্রাজিল, মেক্সিকো, ব্রিটেন, ইতালি, স্পেন ও ফ্রান্সের।

বিশ্বব্যাপী এখন পর্যন্ত (রবিবার সকাল সাড়ে ১০টা) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ২ কোটি ১৬ লাখ ১৬ হাজার ৬২৮ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৭ লাখ ৬৮ হাজার ৯৮৪ জনের।

প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের তাণ্ডবে যখন ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হয়েছে গোটা বিশ্ব, তখন আশার কথা শোনালো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। অন্তত ৯টি ভ্যাকসিন অনুমোদনের দৌড়ে আছে বলে জানিয়েছে ডব্লিউএইচও। এদিকে, রাশিয়ার প্রথম কোভিড ভ্যাকসিন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে সমালোচনা হলেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এর প্রশংসা করেছেন। আর ভ্যাকসিন উৎপাদনে ব্রিটিশ ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রা-জেনেকার সঙ্গে চুক্তি করেছে আর্জেন্টিনা ও মেক্সিকো। প্রতিষ্ঠানটির কাছ থেকে ভ্যাকসিন নেবে ইউরোপিয়ান কমিশনও। এছাড়া চীনের ভ্যাকসিনও রয়েছে সাফল্যের দোড়গোড়ায়।

করোনার টিকা নিয়ে শুরু থেকেই কাজ করছে চীন। দেশটির সিনোফার্মের ভ্যাকসিনের সাফল্য অনেক দূর এগিয়েছে। সম্প্রতি সৌদি আরবে তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চালাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। আগস্টের শেষ সপ্তাহে রুশ ভ্যাকসিন দেশটির চিকিৎসক ও শিক্ষকদের প্রয়োগ করা হবে। তবে এ ভ্যাকসিন তড়িঘড়ি করে অনুমোদন দেয়ায় ৫২ শতাংশ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এটি নিতে প্রস্তুত নন বলে জানান। তিন হাজারেরও বেশি চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের ওপর চালানো এক জরিপে শুক্রবার এ তথ্য উঠে এসেছে।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রেও এ ভ্যাকসিন নিয়ে জোর সমালোচনা চলছে। যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, রুশ ভ্যাকসিন নিয়ে তার আশার কথা শোনান।

নভেম্বর বা ডিসেম্বরের আগে যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের অনুমোদন পাওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন দেশটির ন্যাশনাল ইন্সটিটিউটস অব হেলথের প্রধান ফ্রান্সিস কলিন্স।

ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রা-জেনেকা অক্সফোর্ডের সম্ভাব্য কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন আর্জেন্টিনা ও মেক্সিকোয় উৎপাদনের উদ্যোগ নিয়েছে, যা লাতিন আমেরিকার বেশিরভাগ দেশগুলোর জন্য ব্যবহৃত হবে।

এদিকে, ভ্যাকসিনের ১০ কোটি ডোজ পাওয়ার জন্য অ্যাস্ট্রা-জেনেকার সঙ্গে চুক্তি করেছে ব্রাজিল। প্রতিষ্ঠানটির কাছ থেকে ৩০০ মিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিন নেবে ইউরোপিয়ান কমিশনও।

Scroll to Top