সশস্ত্র বাহিনীতে ‘আরেকটি নিষ্ঠুর শুদ্ধি’ অভিযান প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের

লাদাখ সীমান্ত নিয়ে ভারত-চীন এর মধ্যে চলছে ব্যাপক উত্তেজনা। ভারত সীমান্তে আগ্রাসন চালাতে গিয়ে কঠোর প্রতিরোধ মোকাবিলা করেছে চীনের সশস্ত্র বাহিনী। এতে রুষ্ট হয়েছেন দেশটির একনায়ক প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং। ব্যর্থতার মাশুল দিতে হবে বাহিনীকে। প্রেসিডেন্ট শি তার বাহিনীতে ‘আরেকটি নিষ্ঠুর শুদ্ধি’ অভিযান শুরু করতে যাচ্ছেন। ‘নিক্কি এশিয়ান রিভিউ’র সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতীয় সেনা মোকাবিলায় চীনের গণবাহিনী (পিএলএ) যেভাবে লড়েছে তাতে শি খুবই অসন্তুষ্ট। তাই, তিনি ওই বাহিনীর শীর্ষ নেতাদের ছাঁটাই করতে চাইছেন। এ ছাড়া সামনের দিনগুলোয় তিয়েন আনমেন স্কোয়ারের গণঅভ্যুত্থানের মতো গণঅসন্তোষের আশঙ্কায় তিনি নার্ভাস। মিলিটারিকে সরাসরি তার কমান্ডে এনে নিয়ন্ত্রণ করবেন শি। শি জিন পিং এরকম পদক্ষেপ আগেও নিয়েছেন। যেমন ২০১৬ সালে সেনা পুনর্গঠন। এই কাজের মাধ্যমে তিনি তার প্রতি অনুগত অনেক সামরিক অফিসারকে উচ্চ পদে বসান।
নিক্কি রিভিউ বলছে, আশা করা হয়েছিল এরা ছড়ি ঘুরিয়ে ‘দুর্নীতি’ কমিয়ে আনবে। দুর্নীতি কিন্তু কমেনি। নিজের হাতে সামরিক ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে গিয়ে শি জিন পিং বিভিন্ন অঙ্গনে চীনকে সশস্ত্র সংঘাতের মুখোমুখি করে ফেলছেন। এ পর্যায়ে তিনি গত ২৬ আগস্ট দক্ষিণ চীন সাগরে ‘বিমানবাহী জাহাজ ধ্বংসকারী’ ব্যালাস্টিক মিসাইল উৎক্ষেপণ করেছেন।
নিক্কি রিভিউতে জুন মাসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, লাদাখে যখন হাতাহাতি যুদ্ধে চীনা সৈন্যরা ভারতীয় সেনাদের কাছে মার খাচ্ছিল শি জিন পিং তখন তার ৬৭তম জন্মদিন উদযাপন করছিলেন। তার সৈন্যদের \’বেইজ্জতি\’র খবরে তিনি মর্মাহত হয়েছিলেন।
Scroll to Top