নিষিদ্ধকালে যেসব ম্যাচ খেলতে পারেননি সাকিব আল হাসান

সবধরনের ক্রিকেট খেলার জন্য আজ ২৯ অক্টোবর থেকে মুক্ত হলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। যুক্তরাষ্ট্রে পরিবারকে সময় দেয়া সাকিব নভেম্বরের শুরুতে দেশে ফিরতে পারেন।

১৫ নভেম্বর টি-২০ টুর্নামেন্ট দিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার সম্ভাবনা সাকিবের।

নিষেধাজ্ঞার এক বছরে সাকিব খেলতে পারেননি বেশকিছু আন্তর্জাতিক ম্যাচ। টাইগারদের ড্রেসিংরুমে সাকিব থাকতে পারেননি এমন কিছু ম্যাচের কথা জেনে নেয়া যাক-

সাকিব নিষিদ্ধের পরপরই ভারত সফরে যায় বাংলাদেশ দল। দলের সবচেয়ে উজ্জ্বল নক্ষত্রকে ছাড়া মাঠে নামে বাংলাদেশ। নিজেদের ইতিহাসের প্রথম দিবারাত্রির টেস্ট ম্যাচটা খেলতে হয় সাকিবকে ছাড়াই। দুই টেস্ট সিরিজে নাস্তানুবাদ হয় টাইগাররা।

এরপর টি-টোয়েন্টি সিরিজে দুর্দান্ত জয় দিয়ে শুরু করে তামিম-মুশফিকরা। তবে পরের দুই ম্যাচ হেরে সিরিজ খোয়াতে হয় তাদের। এরপর বহুল আলোচিত পাকিস্তান সফর। এই সফরেও সাকিববিহীন বাংলাদেশ। দুই দফায় খেলা হয় এক টেস্ট ও দুই টি-টোয়েন্টি। সাকিবকে ছাড়া এই সিরিজেও ছন্নছাড়া টাইগার শিবির।

পাকিস্তান সিরিজের পর দেশের মাটিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট খেলে বাংলাদেশ। এখানেও অনুপস্থিত সাকিব। তাকে ছাড়াই সাদা পোশাকের ক্রিকেটে জয় উদযাপন করে টাইগাররা। এরপর ওয়ানডে সিরিজ জয় করে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি সিরিজেও সফরকারী জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করে সাকিববিহীন বাংলাদেশ।

এরপরই শুরু হয় করোনার প্রকোপ। থমকে যায় বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গন। বাতিল হয় একের পর এক আন্তর্জাতিক সিরিজ। এরপর এখন পর্যন্ত আর কোনো আন্তর্জাতিক সিরিজে খেলেনি টিম বাংলাদেশ। মাঝে শ্রীলঙ্কা সফরের সূচি থাকলেও সেটি ভেস্তে গেছে।

পুরো এক বছর ক্যালেন্ডারের হিসাব বলছে, নিষেধাজ্ঞার এক বছরে সাকিব খেলতে পারেননি চারটি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে আর সাতটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। এই মিস করা ম্যাচের সংখ্যা হতো অন্তত ত্রিশ। তবে করোনাভাইরাসের কারণে বাতিল ও স্থগিত হয়েছে অনেক সিরিজ। ফলে ১৪টির বেশি ম্যাচ মিস করতে হয়নি তাকে।

গত বছরের ২৮ অক্টোবর ফিক্সিংজনিত ইস্যুতে নিষিদ্ধ সাকিবকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে আইসিসি। তবে আইসিসির অ্যান্টি করাপশন ইউনিটকে তাদের তদন্ত কাজে যথাযথ সহযোগিতা করায় সাকিবের শাস্তি এক বছর স্থগিত করা হয়।

Scroll to Top