চুরির অভিযোগে কিশোরকে গাছে বেঁধে নির্যাতন, ছবি হলো ভাইরাল

পুকুর থেকে মাছ চুরির অভিযোগে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় এক কিশোরকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। নির্যাতনের শিকার ওই কিশোর উপজেলার উত্তর মেরামাতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। তার বাবা চারঘাট পৌরসভার মেরামাতপুর মহল্লার বাসিন্দা। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করেছেন। গতকাল শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে উপজেলার মেরামাতপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে এ ঘটনা ঘটে।

এতে জহিরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ওই কিশোরকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি গাছের সঙ্গে বাঁধা সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ছড়িয়ে দিয়েছেন।

জানা যায়, দুপুরে ওই কিশোর তার বন্ধুদের নিয়ে মেরামাতপুর গ্রামের জহিরুল ইসলামের পুকুরে গোসল করতে যায়। তার কিছুক্ষণ পরই পুকুরের মালিক সেখানে আসেন। এ সময় ভুক্তভোগী কিশোরের বন্ধুরা পালিয়ে যায়। পরে কিশোরকে কান ধরে পুকুরপাড়ে নিয়ে আসেন জহিরুল। সেখানে শিশুটিকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করা হয়। ঘণ্টা খানেক বেঁধে রাখার পর ঘটনাটি দেখে স্থানীয় লোকজন ছেলেটিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরবর্তীতে জহিরুল ইসলাম ওই কিশোরকে গাছে বেঁধে রাখার দৃশ্য ফেসবুকে শেয়ার করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে পুকুরের মালিক বলেন, আমার পুকুর থেকে প্রায় সময়ই মাছ চুরি হচ্ছে। আজ দুপুরে ওই ছেলেসহ আরও কয়েকজন মাছ চুরি করছিল। এ সময় আমি তাকে হাতেনাতে ধরি। ভবিষ্যতে যাতে আর অপরাধ না করে সেজন্য আমি তাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে একটু শাস্তি দিয়েছি।

শিশুটির নির্যাতনের ছবি ফেসবুকে দিয়েছেন কেন জানতে চাইলে পুকুরের মালিক বলেন, ছবি ফেসবুকে শেয়ার করেছি, যাতে করে এ ছবি দেখে অন্যরা সচেতন হয়।

এতে ওই কিশোরের বাবা বলেন, চুরির অপবাদ দিয়ে তার ছেলেকে গাছে বেঁধে মারধর করেছে জহিরুল। কিন্তু আমার ছেলে সেখানে গোসল করতে গিয়েছিল। সে এখন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আছে।

এ প্রসঙ্গে রাজশাহীর চারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, আমি কিছুক্ষণ আগেই ঘটনাটি শুনেছি। তবে এ ঘটনায় এখনও কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি। অভিযোগ দিলেই আমরা আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।