লকডাউনে ট্রেন চলাচল সম্পর্কে যা জানালেন রেলমন্ত্রী

বৈশ্বিক মহামারি করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে আতঙ্কিত গোটা দেশ। আবারও দিন দিন বেড়েই চলছে প্রাণঘাতী করোনার তাণ্ডব। লকডাউনে জরুরি খাদ্যবাহী ট্রেন ছাড়া সব প্রকার যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে। শনিবার (৩ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন সময়নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

ইতোমধ্যে সোমবার থেকে এক সপ্তাহের জন্য সারাদেশে লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। শনিবার (৩ এপ্রিল) সকালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের নিজ বাসভবনে এক ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

মহামারি করোনাভাইরাসে দেশে গতকাল শুক্রবার ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন আরও ৫০ জন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ১৫৫ জনে। এ ছাড়া দেশের ইতিহাসে গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬ হাজার ৮৩০ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এ নিয়ে দেশে করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ২৪ হাজার ৫৯৪ জনে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) দেশে আরও ৬ হাজার ৪৬৯ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। এ ছাড়া আক্রান্তদের মধ্যে মারা যান আরও ৫৯ জন।

মহামারি আকার ধারণ করা করোনায় গত কয়েক দিনের ধারাবাহিক শনাক্ত ও মৃত্যু ভয়ংকর রূপ ধারণ করার পর সরকার এমন কঠিন সিদ্ধান্ত নিল।

এর আগে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কয়েক দিন আগে দুই সপ্তাহের জন্য ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করে সরকার। নির্দেশনায় সকল ধরনের জনসমাগম (সামাজিক/রাজনৈতিক/ধর্মীয়/অন্যান্য) সীমিত, উচ্চ সংক্রমণযুক্ত এলাকায় সব ধরনের জনসমাগম নিষিদ্ধ, বিয়ে/জন্মদিনসহ যে কোনো সামাজিক অনুষ্ঠান উপলক্ষে জনসমাগম নিরুৎসাহিত করার নির্দেশনা দেয় সরকার।

এ ছাড়াও মসজিদসহ সব ধর্মীয় উপাসনালয়ে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন নিশ্চিত করা, গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ধারণক্ষমতার ৫০ ভাগের অধিক যাত্রী বহন না করা, যান চলাচল সীমিত করা, বিদেশ হতে আগত যাত্রীদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখা, সব সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ৫০ ভাগ জনবল দ্বারা পরিচালনা করাসহ ১৮ নির্দেশনা জারি করে সরকার।