বিশ্বকাপ মানেই উত্তেজনা, রোমাঞ্চ, আর ক্লাসিক কিছু লড়াইয়ের অপেক্ষা। তার মধ্যে সবচেয়ে প্রতীক্ষিত দ্বৈরথ অবশ্যই ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা। দুই দলের ফুটবল-ঐতিহ্য, আবেগ আর মাঠের লড়াই মিলিয়ে এই ম্যাচ যেন আলাদা এক বিশ্বকাপ। তাই ২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্ঠিত হওয়ার পর সমর্থকদের প্রথম প্রশ্ন—‘দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী কবে মুখোমুখি হতে পারে?’
দুই দলই এবার তুলনামূলক সহজ গ্রুপে পড়েছে।
আর্জেন্টিনা আছে জে গ্রুপে—সঙ্গে আলজেরিয়া, অস্ট্রিয়া ও জর্ডান। ব্রাজিলের সঙ্গী সি গ্রুপে মরক্কো, হাইতি ও স্কটল্যান্ড। কাগজে-কলমে দুদলই গ্রুপের ফেভারিট। তাই গ্রুপ পর্ব পেরোনোর সম্ভাবনা বেশ উজ্জ্বল।
তবে এখান থেকেই শুরু জটিল হিসাব। কারণ, এই বিশ্বকাপের নকআউট সিস্টেম আগের মতো সরল নয়। ১২টি গ্রুপ থেকে উঠবে ৩২ দল, শীর্ষ দুইয়ের সঙ্গে সেরা ৮ তৃতীয় দল। কোন গ্রুপ থেকে কে কত নম্বরে উঠছে এবং কোন ব্র্যাকেটে কার সঙ্গে পড়ছে—সবকিছু নির্ভর করছে নির্দিষ্ট কম্বিনেশনের ওপর।
এই জটিলতাই ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা লড়াইকে অনিশ্চয়তার মধ্যে ঢেকে দিয়েছে।
সমীকরণ অনুযায়ী—
দুই দলই যদি গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়, সেমিফাইনালের আগেই মুখোমুখি হওয়ার সুযোগ নেই।
আর দুই দলই যদি রানার্সআপ হয়, তবুও সেমিফাইনালের আগে দেখা হবে না।
এক দল চ্যাম্পিয়ন, অন্য দল রানার্সআপ হলে তাদের দেখা হবে কেবল ফাইনালে।
অর্থাৎ, সমর্থকরা যে ‘সুপার ক্লাসিকো-বিশ্বকাপ সংস্করণ’ আশা করছেন, তা হওয়ার জন্য পথটা বেশ লম্বা।
তবে জটিলতা বাড়ে সেরা তৃতীয় দল হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে। যদি ব্রাজিল বা আর্জেন্টিনা কোনোভাবে তৃতীয় হয়ে সেরা আট দলের তালিকায় উঠে আসে, তখন ব্র্যাকেটের অনেক হিসেব বদলে যায়। তৃতীয় দলের অবস্থান নির্ভর করে শুধু গ্রুপের ওপর নয়, অন্য গ্রুপে কে কোথায় থাকছে তার ওপরও। সুতরাং এই পরিস্থিতিতে দুই দলের লড়াই কোন ধাপে হতে পারে তা আগেভাগে বলা প্রায় অসম্ভব।




