নতুন বার্তা দিতে দেশের সব রাষ্ট্রদূতদের ডাকছে সরকার

আলোচিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর নবগঠিত সরকার ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে নানা উদ্যোগ নিচ্ছে। সেই উদ্যোগের অংশ হিসেবে বিভিন্ন দেশে দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশের সব রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার ও স্থায়ী প্রতিনিধিদের নিয়ে সম্মেলনের আয়োজন করতে যাচ্ছে সরকার। যেখানে অর্থনৈতিক কূটনীতি জোরদারের লক্ষ্য নতুন বার্তা দিতে চাই সরকার।

আগামী এপ্রিলে এনভয় কনফারেন্স বা দূত সম্মেলন হওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এটি হলে দ্বিতীয়বারের মতো এই আয়োজন করতে যাচ্ছে সরকার। ২০১৭ সালের নভেম্বরে ঢাকায় প্রথম দূত সম্মেলন আয়োজন করেছিল সরকার। সেখানে ব্যাপক সাড়াও পাওয়া গিয়েছিল।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, নবগঠিত সরকার, মন্ত্রীসভা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদে নতুন মুখ নিয়োগের প্রেক্ষাপটেও প্রস্তাবিত দূত সম্মেলনটি তাৎপর্যপূর্ণ। ওই সম্মেলনে অতীতের মতোই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের ৫৮টি মিশনের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার, স্থায়ী প্রতিনিধিরা এ সম্মেলনে অংশ নেবেন।

পররাষ্ট্রনীতি বাস্তবায়নের সঙ্গে যুক্ত সরকারের দায়িত্বশীল প্রতিনিধিরা বলছেন, এখনও অনেক কিছু চূড়ান্ত হয়নি। মেগা ওই ইভেন্টের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে মাত্র। চলতি মাসেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পরিদর্শন করবেন। দূত সম্মেলনে তার উপস্থিতি এবং প্রেসিডেন্টের সাক্ষাতের সময়সূচি নিশ্চিত হওয়ার প্রেক্ষিতেই প্রস্তাবিত সম্মেলনের তারিখ চূড়ান্ত হবে।

বন্ধুরাষ্ট্রগুলোর কাছে বর্তমান সরকারের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করা, অর্থনৈতিক কূটনীতি বা ইকনোমি ডিপ্লোমেসি, রোহিঙ্গা ইস্যু এবং কনস্যুলার সেবা অগ্রাধিকার ও নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের এ জরুরি বার্তাগুলো দেয়াই এ সম্মেলনের উদ্দেশ। পাশাপাশি অর্থনৈতিক কূটনীতি কীভাবে জোরদার করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করা হবে মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানান।

উল্লেখ্য, বিশ্বের ৫৮টি দেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত, হাই কমিশনার ও স্থায়ী প্রতিনিধিদের নিয়ে ২০১৭ সালের ২৬, ২৭ ও ২৮ শে নভেম্বর ঢাকায় সর্বশেষ দূত সম্মেলন হয়েছিল। প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত ওই সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ছিল ‘মানুষ ও শান্তির জন্য কূটনীতি’। সেই সম্মেলনে পররাষ্ট্রনীতি, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, ব্যবসা-বাণিজ্য, প্রবাসী শ্রমিকদের কল্যাণসহ সামগ্রিক বিষয়ে সরকারের নীতি ও অবস্থান, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা বিষয়ে এবং দূতাবাসগুলোর কার্যক্রম পর্যালোচনা হয়েছিল।

Scroll to Top