ভাই পরিচয়ে প্রেমিকার শশুরবাড়িতে প্রেমিক

প্রেমিকা বিবাহিত। তাতে কি? মন কি সেসব বুঝতে চায়? তাই ভাই সেজে প্রেমিকার শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে হাজির হলেন জিতেন্দ্র নামের এক যুবক। তবে শেষ রক্ষা হলো না তার। অবশেষে প্রেমিকার স্বামীর কাছেই ধরা পড়লেন ওই যুবক। এরপর বেরিয়ে আসলো আসল ঘটনা।

জানা গেছে, গত শুক্রবার জিতেন্দ্র নামের ওই প্রেমিক তাঁর প্রেমিকার শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে পৌঁছন। প্রেমিকার বাড়ির লোকজন তাঁর পরিচয় জানতে চাইলে তিনি নিজেকে মেয়েটির খুড়তুতো ভাই বলে পরিচয় দেন। জিতেন্দ্র দাবি করেন, রীতি মেনে তিনি তাঁর দিদিকে বাপের বাড়ি নিয়ে যেতে এসেছেন।

ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের বিহারের শেখপুরা জেলার কমাসি গ্রামে। একটি সর্বভারতীয় হিন্দি দৈনিকের খবর অনুযায়ী, শেষ পর্যন্ত ওই প্রেমিকের সঙ্গেই প্রেমিকার বিয়ে দিয়ে দিয়েছেন শ্বশরবাড়ির লোকজন।

হঠাৎ ভাই পরিচয়ে আসা ছেলেটিকে দেখে সন্দেহ হয় প্রেমিকার শশুরবাড়ির লোকজনের। সন্দেহ হওয়ায় নববিবাহিতা মেয়েটির স্বামী জয়চন্দ্র তাঁর শ্বশুরবাড়িতে ফোন করেন। সেখান থেকে জানানো হয়, মেয়েকে আনার জন্য কাউকেই পাঠানো হয়নি। এর পরেই ছেলের বাড়ির লোকজনের সন্দেহ দৃঢ় হয়। প্রেমিক জিতেন্দ্রকে আটকে রাখার পর জানা যায় তাঁর আসল পরিচয়।

এর পরে শনিবার পাত্রপক্ষ বাড়িতে পঞ্চায়েতের লোকজনকে ডেকে সালিশি সভা বসায়। সেখানেই প্রেমিক জিতেন্দ্রর সঙ্গেই নববিবাহিতা বধূর ফের বিয়ে দিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত দেন পঞ্চায়েত। পঞ্চায়েতের সিদ্ধান্ত মেনে বিয়ে হয় জিতেন্দ্র এবং তাঁর প্রেমিকার। সেই বিয়েতে অবশ্য মেয়েটির স্বামী জয়চন্দ্রও অংশ নেন বলে দাবি করা হয়েছে।

জানা গিয়েছে, প্রায় এক বছর আগে জয়চন্দ্রর সঙ্গে ওই মেয়েটির বিয়ে হয় কিন্তু ছ’মাস আগে একটি রং নম্বরের সূত্রে ফোনে জিতেন্দ্রর সঙ্গে ওই গৃহবধূর আলাপ হয়। শেষ পর্যন্ত তা প্রেমে গড়ায়। এরপরই ঘটে এই লঙ্কা কাণ্ড।

বাংলাদেশ সময়: ১০২৩ ঘণ্টা, ২২ অক্টোবর, ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/পিকে