রোহিঙ্গারা ভয়ে বাংলাদেশে প্রবেশে করে: অং সান সু চি

রোহিঙ্গা গণহত্যার বিষয়টি আন্তর্জাতিক বিচারালয়ের নিয়ে আসার জন্য সমালোচনা করেছেন শান্তিতে নোবেল জয়ী দেশটির গণতান্ত্রিক নেত্রী অং সান সু চি। তিনি দাবি করেন, রাখাইনে জাতিগত সংঘাত নয়, প্রথমে আরাকানের সশস্ত্র সংগঠন আরসা পুলিশ চৌকিতে হামলা চালিয়ে ৩০ জন পুলিশকে হত্যা করে। এরপর আরসার বিরুদ্ধে অভিযানে নামে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। তিনি দাবি করেন, এ সময় রোহিঙ্গারা ভয়ে বাংলাদেশে প্রবেশে করে।

রোহিঙ্গা গণহত্যার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে গাম্বিয়ার করা মামলায় নেদারল্যান্ডের হেগে বুধবার দ্বিতীয় দিনের শুনানিতে নিজেদের পক্ষে এভাবে সাফাই বক্তব্য দিয়েছেন তিনি।

এদিন, নানা যুক্তি দিয়ে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর পক্ষে নিয়ে সু চি বলেন, সেনাবাহিনী কর্তৃক রোহিঙ্গা গণহত্যার অনুমান নির্ভর অভিযোগ আনা হয়েছে। সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘন হলে মেনে নেবে না মিয়ানমার সরকার। তিনি দাবি করেন, রাখাইনে কোনো গণহত্যা হয়নি। বিষয়টি গাম্বিয়া ভুলভাবে ব্যাখ্যা করেছে। তাদের আরও অনুসন্ধানের আহ্বান জানান সু চি। একই সঙ্গে রাখাইনে রোহিঙ্গা গণহত্যার বিষয়টি আন্তর্জাতিক বিচারালয়ের নিয়ে আসার জন্যও সমালোচনা করেছেন তিনি।

এর আগে, মঙ্গলবার প্রথমদিনের শুনানিতে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের নির্বোধ হত্যাকাণ্ড বন্ধে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানান গাম্বিয়ার আইনমন্ত্রী। আদালতে মিয়ানমারের পক্ষে দেশটির অং সান সু চি এবং গাম্বিয়ার পক্ষে নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশটির আইনমন্ত্রী আবুবকর মারি তামবাদু।

প্রসঙ্গত, নেদারল্যান্ডের হেগে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ জাস্টিস বা আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গত নভেম্বর মাসের মাঝামাঝিতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধ মামলাটি দায়ের করে গাম্বিয়া।