মা-বাবার চোখের সামনেই রিক্সা থেকে নর্দমায় পড়ে মেয়ের মৃত্যু

সোমবার সকালে উদ্ধার হল হাইড্রেনে তলিয়ে যাওয়া শিশুকন্যা আশিকনাজের মৃতদেহ। রাতভর তল্লাশি চালিয়ে অবশেষে আসানসোল ডিআরএম অফিসের সামনে হাইড্রেনে পাওয়া যায় নিখোঁজ শিশুর দেহ।

খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যান আসানসোল পুরনিগমের মেয়র জিতেন্দ্র তেওয়ারি।

রবিবার অসুরিক্ষত হাই ড্রেনে তলিয়ে যায় তিন বছরের ওই শিশুকন্যা। আসানসোল রেলপারের বাসিন্দা মহম্মদ আলমগির স্ত্রী ও শিশু কন্যা আশিকনাজকে নিয়ে রিক্সা করে যাচ্ছিলেন। আসানসোলের ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের হটন রোডে ঘিঞ্জি রাস্তায় আলমগিরের পরিবার-সহ রিক্সাটি উলটে পড়ে যায় হাই ড্রেনে। একটি ম্যারেজ হলের সামনে এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায়।

আহত অবস্থায় স্বামী-স্ত্রীকে স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করলেও জলের স্রোতে ভেসে যায় শিশুটি। স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধারকাজে এগিয়ে আসেন। তাদের কেউ কেউ ড্রেনে নেমে খোজাখুঁজি শুরু করেন। কিন্তু শিশুটির খোঁজ মেলেনি রাত পর্যন্ত। আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ ও দমকলবাহিনী নর্দমায় নেমে তল্লাশি করলেও উদ্ধার করা যায়নি শিশুটিকে।

এই ঘটনায় পুরপ্রশাসনের গাফিলতির প্রতিবাদে রাতে হটন রোড অবরোধ করেন এলাকার বাসিন্দার। স্থানীয় কংগ্রেস নেতা শাহ আলমের বক্তব্য, রাস্তার ভগ্ন দশা ও হাইড্রেনে ঢাকনার দাবি দীর্ঘদিন করে আসছেন স্থানীয়রা। তারপরও প্রশাসনের হুঁশ নেই। স্থানীয়দের অভিযোগ পুরনিগম উপযুক্ত ব্যবস্থা না নেওয়াতেই এই বিপত্তি ঘটল।

যদিও পুরনিগমের মেয়র জিতেন্দ্র তেওয়ারির দাবি আসানসোল বাজার এলাকায় ওই ড্রেন অনেক পুরাতন ও অপরিকল্পিত। ওখানে কভার করা হলে হিতে বিপরীত হতে পারে। একটু বৃষ্টি হলেই বাজার ভেসে যাবে। এধরনের ঘটনা আটকাতে বিকল্প পরিকল্পনা করছে পুরনিগম। সূত্রঃ সংবাদ প্রতিদিন

বাংলাদেশ সময় : ১৩৩০ ঘণ্টা, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭,
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এ

Scroll to Top