বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে দ্বিতীয় দফায় মুক্তি পাচ্ছেন ৩৯ জন কয়েদি

মহামারী করোনার কারনে সরকারের সাধারণ ক্ষমায় বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে দ্বিতীয় দফায় মুক্তি পাচ্ছেন ৩৯ জন কয়েদি। গত শুক্রবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাওয়ার পর শনিবার বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন ২ জন কয়েদি। আইনী জটিলতা কাটিয়ে অপর ৩৭ জন রবিবার মুক্তি পাবে বলে জানিয়েছেন বরিশাল কেন্দ্রিয় কারগারের জেলার নূর মোহাম্মদ।

তিনি জানান, দ্বিতীয় দফায় যাদের মুক্তির আদেশ এসেছে তারা সকলেই লঘুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদি। তাদের সাজার মেয়াদ বাকি ছিলো ৬ মাস থেকে ১ বছর। আদেশ পাওয়ার পর শনিবার ২ জনকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। জরিমানার টাকা অপরিশোধিত থাকায় বাকি ৩৭ জনকে মুক্তি দেয়া সম্ভব হয়নি। তবে জরিমানার অর্থ পরিশোধ সাপেক্ষে রবিবার তারা মুক্তি পেতে পারেন বলে জানান জেলার নূর মোহাম্মদ।

এর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে প্রথম দফায় গত ২ মে ৩ জন এবং ৩ মে ৭ জনকে বিশেষ ক্ষমতায় মুক্তি দেয়া হয় বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে।

বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বনিক জানান, করোনার কারনে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ৩ ক্যাটাগরিতে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের ২৪২ জন বন্দিকে মুক্তির জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ পাঠানো হয়েছিলো। এরমধ্যে ৭৩ জন যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রয়েছে, যাদের অন্তত ২০ বছর সাজা ভোগ করা হয়ে গছে। অপর দুই ক্যাটাগরিভূক্তরা হলো হাজতি এবং লঘুদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দি।