শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ মানবিকতার অনন্য নজির রেখেছেঃ মুস্তাফা ওসমান

ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান তুরান মন্তব্য করে বলেছেন যে, শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ মানবিকতার অনন্য নজির স্থাপন করেছে। রোববার (১০ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শনে এসে তিনি এ মন্তব্য করেন।

৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলটি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় রাষ্ট্রদূত তুরস্ককে বাংলাদেশের একটি বন্ধুপ্রতিম মুসলিম দেশ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, দুই দেশের মধ্যে রয়েছে ঐতিহাসিক সুসম্পর্ক এবং দুই দেশের জনগণের পারস্পরিক সম্পর্ক খুব চমৎকার।

আগামী মার্চে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও মুজিব বর্ষ উপলক্ষে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বাংলাদেশ সফর করবেন জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন খাতে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। ভৌগোলিক দূরত্ব বেশি হলেও ভ্রাতৃত্ববোধে দুই দেশ এক সুতোয় বাঁধা। পারস্পরিক বিশ্বাস ও অর্থনৈতিক সুসম্পর্ক বজায় থাকলে দুই দেশের পক্ষে অনেক কিছুই অর্জন করা সম্ভব।

বন্দর চেয়ারম্যান এসএম আবুল কালাম আজাদ বলেন, তুর্কি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের রেল এবং রোড কানেক্টিভিটিসহ ঢাকাভিত্তিক কনটেইনার ডিপো নির্মাণে বিনিয়োগ করতে পারে। ভবিষ্যতে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরেও বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি মিরসরাই স্পেশাল ইকোনমিক জোনেও তুরস্কের বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে। তা ছাড়া জাহাজ নির্মাণ শিল্পে বাংলাদেশ ও তুরস্কের যৌথ বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে।

সভার শুরুতে চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো. জাফর আলম বন্দরের সার্বিক কার্যক্রম, বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প ও বন্দরের উন্নয়নে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে তুরস্কের প্রতিনিধি দলকে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন।

সভায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (অর্থ) মো. কামরুল আমিন, সদস্য (হারবার ও মেরিন) কমডোর মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, পরিচালক (প্রশাসন) মো. মমিনুর রশিদ, উপ সংরক্ষক ক্যাপ্টেন ফরিদুল আলম, পরিচালক (নিরাপত্তা) লে. কর্নেল মোস্তফা আরিফ-উর-রহমান খান, পরিচালক (পরিবহন) এনামুল করিম, সচিব মো. ওমর ফারুক, চিফ হাইড্রোগ্রাফার কমান্ডার এম আরিফুর রহমান।