SI

১৬ ভরি সোনা ছিনতাইয়ের মামলায়, এসআইসহ রিমান্ডে দুজন

চট্টগ্রামে সৌদিফেরত এক প্রবাসীর কাছ থেকে ১৬ ভরি সোনা ছিনতাই করতে গিয়ে গ্রেপ্তার পুলিশের এক উপপরিদর্শকসহ দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলাম শুনানি শেষে এ রিমান্ড আদেশ দেন।

গ্রেপ্তার উপপরিদর্শকের (এসআই) নাম আমিনুল ইসলাম। এ ঘটনার পর তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তিনি নগরের খুলশী থানায় কর্মরত ছিলেন। আরেক আসামি হলেন তাঁর সোর্স (তথ্যদাতা) শহীদুল ইসলাম ওরফে জাহেদ।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মো. মফিজুর রহমান বলেন, ছিনতাইয়ের মামলায় গ্রেপ্তার আমিনুল ইসলামসহ দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে খুলশী থানা-পুলিশ পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে। শুনানি শেষে আদালত এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

নগরের আখতারুজ্জামান চৌধুরী উড়ালসড়ক থেকে গতকাল রোববার বিকেলে মোহাম্মদ খালেক নামের এক সৌদিপ্রবাসীর কাছ থেকে ১৬ ভরি সোনা ছিনতাইয়ের চেষ্টাকালে স্থানীয় লোকজন এসআই আমিনুলসহ দুজনকে ধরে পুলিশে দেন। তাঁদের আরেক সহযোগী পালিয়ে যান। এ ঘটনায় সৌদিপ্রবাসী বাদী হয়ে খুলশী থানায় গতকাল রাতেই ছিনতাইয়ের অভিযোগে মামলা করেন।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে গতকাল পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা বলেছিলেন, সৌদিপ্রবাসী আবদুল খালেক ১২ দিন আগে দেশে ফেরেন। কিন্তু তিনি কিছু সোনার চুড়ি রেখে আসেন। গতকাল বেলা তিনটার দিকে সৌদি আরব থেকে আসা তাঁর এক পূর্বপরিচিত ব্যক্তি সেই চুড়িগুলো নিয়ে আসেন। দুই ভরি করে আটটি চুড়ির ওজন ছিল ১৬ ভরি। আবদুল খালেক চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বাইরে থেকে গয়নাগুলো বুঝে নেন। এরপর বাসে গ্রামের বাড়ি লোহাগাড়ার উদ্দেশে রওনা হন।

বাসটি নগরের টাইগারপাস এলাকায় পৌঁছালে সাদা পোশাকে থাকা খুলশী থানার এসআই আমিনুল ইসলাম তাঁর এক সহযোগীসহ বাস থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে প্রবাসীকে নামিয়ে আনেন। পরে তাঁকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তুলে নেন।

প্রবাসীর কাছে থাকা সোনার চুড়িগুলো অবৈধ বলে আমিনুল ও তাঁর সহযোগীরা কেড়ে নেন। ওই সময় প্রবাসী এগুলোর কাগজপত্র দেখালে তা ফেলে দেন আমিনুল। এরপর ওই গাড়িসহ প্রবাসীকে নিয়ে নগরের কয়েকটি জায়গায় ঘোরেন। একপর্যায়ে আখতারুজ্জামান চৌধুরী উড়ালসড়কে নিয়ে প্রবাসীকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিতে চেষ্টা করেন আমিনুল ও তাঁর সহযোগীরা।

এ সময় প্রবাসী আবদুল খালেক এসআই আমিনুলের পোশাক ধরে রাখেন। তাঁদের মধ্যে তখন কিছুক্ষণ ধস্তাধস্তি হয়। এরই মধ্যে সেখানে লোকজন ভিড় জমান। খবর পেয়ে সেখানে হাজির হয় পাঁচলাইশ থানা-পুলিশ। তারা আমিনুল ও তাঁর সহযোগী শহীদুলকে আটক করে। দ্বিতীয় সহযোগী পালিয়ে যান।

Scroll to Top