ফেসবুকে শাকিব খান : একের পর নক্ষত্রের পতনে শূন্য হয়ে যাচ্ছে চলচ্চিত্রাঙ্গন

কবরীর মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ওয়াসিমের মৃত্যু বেশ ধাক্কা দিয়েছে শাকিবদের। তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন চলচ্চিত্র পাড়ার প্রায় সব সদস্যই।

ঢাকাই চলচ্চিত্রের এক নম্বর নায়ক শাকিব খান ওয়াসিমের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে সামাজিক যোগযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন। লিখেছেন-

‘আবারও চলচ্চিত্রাঙ্গনে শোকের মাতম। একের পর নক্ষত্রের পতনে শূন্য হয়ে যাচ্ছে এ মাধ্যমটি। কবরী আপা চলে যাওয়ার বিষাদের মধ্যে সোনালী দিনের জনপ্রিয় নায়ক ওয়াসিম আঙ্কেল মারা গেলেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নালিল্লাহি রাজিউন…

ফোক ফ্যান্টাসি ধারার চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে ওয়াসিম আঙ্কেল ৭০-৮০ এর দশকে তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন। ওইসব চলচ্চিত্রে অভিনয় করে নায়ক হিসেবে আলাদা গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করেছিলেন তিনি। তাই আজও সোনালী অতীতের চলচ্চিত্র ও তৎকালীন স্টারদের প্রসঙ্গ এলে প্রথমসারির নায়কদের কাতারে আসে ওয়াসিম আঙ্কেলের নাম। তিনি ছিলেন সুঠাম, সুদর্শন ও পরিপূর্ণ এক নায়ক।

বেশ কিছুদিন আগে জেনেছিলাম ওয়াসিম আঙ্কেল দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। অবশেষে চলে গেলেন। তার চলে যাওয়ায় আরও এক অভিভাবক হারালো বাংলা চলচ্চিত্র। ওয়াসিম আঙ্কেলের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি। তাঁর শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।’

এর আগে কবরীর মৃত্যুতেও শোক প্রকাশ করে ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন শাকিব। লেখেন- ‘চলচ্চিত্রের যারা পথপ্রদর্শক তারা একে একে চলে যাচ্ছেন। সেই পথে পাড়ি দিলেন আমাদের চলচ্চিত্রের কিংবদন্তী অভিনেত্রী কবরী আপা। তিনি আর নেই। ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্নইলাহি রাজিউন। চলচ্চিত্রের প্রাজ্ঞজনের একজন ছিলেন কবরী আপা। তিনি সোনালি অতীতের সমুজ্জ্বল সাক্ষী ছিলেন। সুতরাং, হীরামন, ময়নামতি, চোরাবালি, পারুলের সংসার, বিনিময়, আগন্তুক, সুজন সখী, তিতাস একটি নদীর নাম, নীল আকাশের নিচেসহ অসংখ্য জনপ্রিয় চলচ্চিত্রের নায়িকা ছিলেন কবরী আপা। অভিনেত্রী পরিচয়ের বাইরে পরিচালনাতেও সুনাম অর্জন করেছিলেন তিনি।

পর্দার মিষ্টি মেয়ে হিসেবে খ্যাতি পেলেও ব্যক্তি জীবনে কবরী আপা ছিলেন অত্যন্ত ব্যক্তিত্ববান একজন মানুষ। কিংবদন্তী এই মানুষটির সাথে আমার অসংখ্য স্মৃতি। যখনই দেখা হতো আমাকে স্নেহ করতেন। তার সময়কার বিভিন্ন স্মৃতি শেয়ার করতেন। কবরী আপার মৃত্যুতে প্রিয় অভিনেত্রী হারানোর পাশাপাশি একজন অভিভাবক হারানোর শোক অনুভব করছি। যেখানেই থাকুন, ভালো থাকুন কবরী আপা…।’

সবাইকে নিস্তব্ধ করে গত শুক্রবার রাত ১২টা ২০মিনিটে রাজধানীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন বাংলা চলচ্চিত্রের মিষ্টি মেয়ে কবরী। করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১৩ দিনের মাথায় পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন তিনি।