পরীমনির মুক্তি চেয়ে কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবরের ফেসবুকে দীর্ঘ স্ট্যাটাস

বাংলা গানের যুবরাজ খ্যাত আসিফ আকবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ সক্রিয়। তাকে ফেসবুকে নিয়মিতই নানা বিষয়ে স্ট্যাটাস দিতে দেখা যায়।

এবার এ কণ্ঠশিল্পী দীর্ঘ এক স্ট্যাটাস দিয়েছেন মাদক মামলায় গ্রেফতার আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনির মুক্তির দাবিতে।

আসিফ আকবর বলেন, পরীমনি একজন ভাল অভিনেত্রী। তাকে মুক্তি দিয়ে সিনোমায় ফেরালে দেশের এই শোবিজ অঙ্গনেরই ভালো হয়। হয়তো মুক্তি পেয়ে পরীমনি আন্তর্জাতিক তারকা খ্যাতি লাভ করবে।

স্ট্যাটাসে পরীমনির প্রশংসায় আসিফ আকবর লিখেছেন, ‘ইন্টারন্যাশনাল ম্যাগাজিন ফোর্বসের বিশ্লেষণে মেয়েটা ছিল শোবিজে একজন প্রভাবশালী নারী। বাংলাদেশের ফেসবুক জগতে তার ছিল সর্বোচ্চ কোটি ফলোয়ার। এই নিয়ে মিডিয়াসহ দেশের মানুষের গর্বের শেষ ছিল না।’

‘মেয়েটা অবশ্যই ভাল অভিনেত্রী, মেয়েটা দেশকে আরও সার্ভিস দিতে পারত। দেশ নেয়নি, হয়তো সে মুক্তি পেয়ে আন্তর্জাতিক তারকা হয়ে যাবে। নাচতে নেমে ঘোমটা দেয়ার পুরনো কথাটা মনে পড়ে গেল। আবার লোকাল ভাষায়- ঘোমটার নিচে পোংটা নাচে, এই বাক্যটাও সামনে চলে এল।’

কম বয়সে পরীমনির এতিম হয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গটি টেনে এনে আসিফ লিখেছেন, ‘মা আগুনে পুড়ে মরেছেন দু’মাস কষ্ট পেয়ে। ব্যবসায়িক কারণে মেয়েটার বাবাও খুন হয়েছেন। সাপলুডুর সাপগুলো পুষে মইগুলো বেয়ে বেয়ে মেয়েটা হয়তো একটা জায়গায় পৌঁছেছে। মফস্বলের একটা মেয়ে এত উঁচুতে পৌঁছানোর পেছনে অবশ্যই যোগ্যতা ছিল, রহস্যের তো শেষ নেই।’

আসিফ আকবর প্রশ্ন রেখেছেন, ‘মেয়েটা দেশের সবচেয়ে বড় আলোচিত ক্রিমিন্যাল হয়ে গেল হঠাৎ করেই? সারা দেশের গলিতে গলিতে এরকম মজায় মত্ত থাকি আমরা ভোগী পুরুষরা। দোষ হয় শুধু মেয়েদের, সমস্ত অপরাধের কেন্দ্রবিন্দু তারাই। এই মেয়েটাকে এতোটা পথ কাদের শেল্টারে এসেছে এই রহস্য উন্মোচিত হবে না কখনও।’

নিজের কারাভোগের প্রসঙ্গটা টেনে আনলেন জনপ্রিয় এ কণ্ঠশিল্পী। লিখলেন, ‘চারঘণ্টা রুদ্ধশ্বাস অভিযানে গ্রেফতার হওয়া মেয়েটার কপাল ভাল হাতকড়া পরতে হয়নি, আমি এই দেশে জাতীয় পুরস্কারের সঙ্গে হাতকড়াও উপহার পেয়েছি। একটাই আফসোস- মেয়েটা যে পরিমাণ সিকিউরিটি পেয়েছে সেটা আমি পাইনি।’

পরিশেষে আসিফ লিখেছেন, ‘আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই দাবি জানাই- পরীমনির মুক্তি চাই। প্রয়োজনে তাকে রিহ্যাব করানো হোক। সে ভয়ংকর অপরাধী নয়, অভিভাবকহীনতার শিকার একটা লক্ষ্যহীন নৌকা মাত্র।’