ঢাকায় জেদ্দার চেয়েও বেশি গরমের তীব্রতা

বেশ কিছুদিন ধরেই নগরবাসী অতিরিক্ত গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। ঋতুর হিসেবে হেমন্তে গরম থেকে মুক্তি পাওয়ার কথা থাকলেও উল্টো গরমের তীব্রতায় নাকাল অবস্থা। অবাক করা বিষয় হচ্ছে, ঢাকায় গরমের তীব্রতা এই মুহূর্তে জেদ্দার চাইতেও বেশি।

আজ রোববার (১৭ অক্টোবর) ঢাকায় যেখানে তাপমাত্রা অনুভূত হচ্ছে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস সেখানে সৌদি আরবের জেদ্দায় তাপমাত্রা ছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সমুদ্রে লঘুচাপের কারণে বাতাসের আর্দ্রতা বেড়ে গেছে। এছাড়া উত্তর গোলার্ধে গরম অবস্থার কারণে দেশে বর্তমানে গরমের তীব্রতা বেশি। তবে অসহনীয় এই গরম থেকে স্বস্তি মিলতে পারে দুদিন পর।

গুগলের আবহাওয়া আপডেট অনুযায়ী, রোববার বেলা ১১টার দিকে ঢাকার গড় তাপমাত্রা ছিল ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর রিয়েল ফিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৭৪ ভাগ। অন্যদিকে সৌদি আরবের স্থানীয় সময় বেলা ১১টায় জেদ্দার তাপমাত্রা ছিল ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর রিয়েল ফিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শহরটিতে বাতাসের আর্দ্রতা ছিল শতকরা ২৬ ভাগ।

বৃষ্টির কারণে ঢাকা ও আশাপাশের কিছু এলাকায় শনিবার রাতের তাপমাত্রা কিছুটা কম ছিল। তবে রোববার সকাল থেকে আবারও বাড়তে শুরু করে গরম।

শনিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় তেঁতুলিয়ায়। রাজধানী ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৩৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ‘উত্তর গোলার্ধে গরম অবস্থা বিরাজমান। এর ছায়া বাংলাদেশেও লেগেছে। এ ছাড়া, বঙ্গোপসাগরের আশেপাশে যদি লঘুচাপ থাকে তবে গরম বাড়ে। এখন ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানাতে একটা লঘুচাপ আছে। এর ফলে বাংলাদেশের আশেপাশে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। আর এটার বৈশিষ্ট্য তাপ ধরে রাখে। শুধু ঢাকাতেই নয় বেশ কিছুদিন ধরে গরমের তীব্রতা সারা দেশেই বিরাজ করছে।