১৬৫ যাত্রী নিয়ে ২ বছর পর ঢাকা ছাড়ল মৈত্রী এক্সপ্রেস

করোনা মহামারির কারণে গত ২ বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকার পর আবার শুরু হয়েছে ঢাকা-কলকাতা ট্রেন চলাচল। আজ রোববার ১৬৫ জন যাত্রী নিয়ে ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে কলকাতার উদ্দেশে ছেড়ে যায় মৈত্রী এক্সপ্রেস। এর মধ্যে বিদেশি (ভারত) যাত্রী ১৬ জন। আর একজন ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক।

এর আগে সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে এই ট্রেন চলাচল আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার। তিনি বলেন, এখন থেকে ট্রেনটি সপ্তাহে পাঁচদিন চলাচল করবে। ট্রেনটিতে মোট আসন রয়েছে ৪৫৬টি।

ট্রেনটির ১৭০টি টিকিট বিক্রি হয়েছে জানিয়ে ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার বলেন, প্রথম দিনেই মৈত্রী এক্সপ্রেসের যাত্রী সংখ্যা ছিল অর্ধেকেরও কম। তবে দীর্ঘ বিরতি কাটিয়ে ট্রেনে করে ভারতগামী যাত্রীরা আনন্দিত।

মহাপরিচালক বলেন, দেশে করোনা সংক্রমণ দেখা দেওয়ার পর ২০২০ সালের ১৫ মার্চ থেকে মৈত্রী ও বন্ধন এক্সপ্রেসে যাত্রী পরিবহন বন্ধ হয়ে যায়। এর এক বছর পর মিতালী এক্সপ্রেস উদ্বোধন করা হয়। পরে ঈদুল ফিতরের আগে আকাশ ও সড়কপথে পুরোদমে যাতায়াত চালু হলেও ঝুলে ছিল রেল যোগাযোগ।

জানতে চাইলে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট রেলস্টেশনের ম্যানেজার লিটন চন্দ্র দে বলেন, ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া শেষ করে সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে ট্রেনটি যাত্রা শুরু করেছে। বিকেল চারটায় কলকাতা স্টেশনে পৌঁছাবে এটি। সোমবার আবার কলকাতা থেকে যাত্রী নিয়ে বিকেল চারটায় ঢাকা আসবে।

তিনি বলেন, পূজা, ঈদের ছুটি এবং শীতকালে ট্রেনের সব আসনে যাত্রী থাকে। আর অন্যান্য সময় গড়ে ৩০০ আসনে যায় যাত্রী। এখন করোনা পরবর্তী সময়ে ট্রেনটি চালু হয়েছে। তাই যাত্রী কিছুটা কম। এটা ক্রমান্বয়ে বাড়বে।

স্টেশন কর্তৃপক্ষ জানায়, মৈত্রী এখান থেকে সরাসরি সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গার দর্শনা স্টেশনে পৌঁছাবে দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে। ওখানে ২০ মিনিট যাত্রা বিরতির পর দুপুর ২টায় সীমান্ত পেরিয়ে কলকাতার উদ্দেশে ছুটবে মৈত্রী। এরপর বিকেল ৪টায় কলকাতার চিতপুর স্টেশনে থামবে ট্রেনটি।

একইভাবে আগামীকাল সোমবার ভারতীয় সময় সকাল ৭টা ১০ মিনিটে চিতপুর স্টেশন থেকে ফিরতি ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে রওনা করবে। বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টা ১০ মিনিটে সীমান্ত পেরিয়ে দর্শনা স্টেশনে এসে পৌঁছাবে। এখান থেকে সাড়ে ১০টায় ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে।

Scroll to Top