কুমিল্লায় করোনা থেকে বাঁচতে মাথা ন্যাড়া করার হিড়িক

করোনাকে প্রতিরোধ করার অভিলাষে হঠাৎ করেই কুমিল্লা নগরীর বিভিন্ন প্রান্তে যুবকদের মধ্যে মাথা ন্যাড়া করার হিড়িক পড়েছে। এ নিয়ে বিজ্ঞানসম্মত কোনও বক্তব্য না থাকলেও এই ন্যাড়া করার প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে যুবকরা।

যারা ন্যাড়া হচ্ছেন তাদের দাবি, বৈশ্বিক মহামারী করোনার প্রাদুর্ভাব কমাতে সরকারের নির্দেশে বেশিরভাগ মানুষ ঘরে অবস্থান করছেন। আর একই কারণে বর্তমানে সারা দেশের সব সেলুনও বন্ধ রয়েছে। এতে করে বেশিরভাগ মানুষ চুল ছোট করতে না পেরে ন্যাড়া হয়ে যাচ্ছেন। তবে অনেকে আবার ভালো লাগা থেকেও ন্যাড়া হয়েছেন। আবার অনেকে পরিচিতজনের ন্যাড়া হওয়া দেখে উৎসাহিত হয়ে এই পথে হেঁটেছেন।

জানা গেছে, গত এক সপ্তাহ ধরে কুমিল্লা নগরীসহ জেলার ১৭টি উপজেলার গ্রামে-গঞ্জে মাথা ন্যাড়া করার হিড়িক পড়েছে। বিশেষ করে তরুণ ও যুবকদের মধ্যে এই প্রবণতা বেশি লক্ষ্য করা গেছে। তবে পিছিয়ে নেই শিশুরাও। অভিভাবকরা সুযোগটিকে কাজে লাগিয়ে শিশুদের মাথাও ন্যাড়া করে দিচ্ছেন।

করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে এমন দৃশ্যে বেশ কৌতূহলের সৃষ্টি হলেও যারা ন্যাড়া মাথা করেছেন তারা বলছেন, সরকারের নির্দেশে ঘরে বন্দি, সেলুনও বন্ধ, তাই মাথার চুল বড় হওয়ায় তারা ন্যাড়া হয়েছেন। আবার অনেকেই বলেছেন, নিছক মনের বাসনা কিংবা ভালো লাগা থেকেই তারা ন্যাড়া হয়েছেন। আবার অনেকে জানিয়েছেন, পাশের বা পরিচিত কারও একজনের ন্যাড়া হওয়া দেখে তিনিও উৎসাহিত হয়েছেন। আবার কেউ বলেছেন, ন্যাড়া মাথা দেখলে করোনার মায়া লাগতে পারে তাই মাথা ন্যাড়া করেছেন।

তরুণ ও উঠতি বয়সের এই যুবকরা শুধু মাথা ন্যাড়া করেই বসে থাকেননি। তারা ন্যাড়া মাথার ছবি নানা ভঙ্গিতে উঠিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে পোস্ট করে যাচ্ছেন নিয়মিত। মাথা ন্যাড়া করলে ‘করোনা’ আসবে না এটাকে শুধুই গুজব হিসেবে আখ্যায়িত করে কুমিল্লা জেলার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো. সাহাদাত বলেন, এটার কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। এ বিষয়ে কানও না দেয়ার জন্য তিনি যুবকদের আহ্বান জানান।