বগুড়ায় গত ২৪ ঘন্টায় আরও ৭জনের করোনা শনাক্ত

0
3

বগুড়ায় পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা। মঙ্গলবার নতুন করে আরও ৭জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।

আক্রান্তদের মধ্যে চারজন সম্প্রতি অন্য জেলা থেকে বগুড়ায় ফিরেছেন। আর দুজন স্থানীয়ভাবে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে এসে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন। অপরজনের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় সংক্রমণের উৎস সম্পর্কে জানা যায়নি।এ নিয়ে ২৬ পুলিশ, ১১ চিকিৎসক-স্বাস্থ্য কর্মীসহ জেলায় ৯৫ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হলেন।

বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন মোস্তাফিজুর রহমান মঙ্গলবার রাত ১০টায় এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, মঙ্গলবার নতুন করে করোনা শনাক্ত হওয়া দুজন সদর উপজেলার বাসিন্দা, চারজন শেরপুর উপজেলার ও একজন সদর উপজেলার বাসিন্দা হলেও শাজাহানপুর উপজেলায় শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করছেন। তিনি বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে বগুড়া জেলা থেকে সংগ্রহ করা ১৮৮টি নমুনা পরীক্ষা হয়। এর মধ্যে সাতজন কোভিড-১৯ পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন।

স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, শেরপুর উপজেলার আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে একজনের বাড়ি উপজেলার বনমরিচা গ্রামে। ৩৮ বছর বয়সী এই ব্যক্তি পেশায় ফার্মেসি দোকানি। গত শনিবার তিনি নমুনা দেন। মঙ্গলবার নমুনা পরীক্ষায় কোভিড-১৯ পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন। এ ছাড়া করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন ৩৫ বছর বয়সী একজন কৃষক। তাঁর বাড়ি শেরপুর উপজেলার হাসপাতাল সড়কে। তিনিও শনিবার নমুনা দেন। শেরপুর উপজেলার চান্দাইকোনা এলাকার ঢাকা ফেরত একজন এনজিওকর্মীও করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন। তাঁর বয়স ৪৬ বছর। তিনি রবিবার নমুনা দেন। শেরপুর উপজেলার ৩৫ বছর বয়সী আরেক ব্যক্তি করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন। তবে তিনি মুঠোফোন বন্ধ রাখায় তাঁর সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিতে পারেনি জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

বগুড়া সদর উপজেলার গোকুল এলাকার চট্টগ্রাম ফেরত ৩৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তি করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন। তিনি সেখানে ফার্নিচারের দোকানে কাজ করেন। কয়েক দিন আগে তিনি বগুড়ায় ফেরেন এবং গতকাল শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের ল্যাবরেটরিতে নমুনা দেন।

শাজাহানপুর উপজেলার সাবরুল ইউনিয়নে অবস্থানরত ৪৩ বছর বয়সী করোনা পজিটিভ শনাক্ত ব্যক্তির বাসা বগুড়া শহরের নারুলী এলাকায়। তিনি ঢাকার ধামরাইয়ে একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করেন। রবিবার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন।