পাবনায় মানসিক প্রতিবন্ধী মেয়েটি মা হলেও বাবা হয়নি কেউ

এক মানসিক প্রতিবন্ধী তরুণী পাবনার সাঁথিয়ায় ছেলে সন্তান প্রসব করেছে। গতকাল রবিবার (১৪ ই জুন) কাশীনাথপুর পদ্মা হাসপাতালে একটি পুত্র সন্তান প্রসব করে মানসিক প্রতিবন্ধী ওই তরুণী।

বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার ডা. আল আমিন জানান, উপজেলার কাশিনাথপুরে পদ্মা জেনারেল হাসপাতালে গতকাল রবিবার সুস্থ, সুন্দর ও ফুটফুটে এ নবজাতক পুত্রসন্তানটির জন্ম হয়। প্রশ্ন হলো মানুষরুপি নরপশুর যৌন লালসার শিকার হয়ে জন্ম নেয়া এ সন্তানের বাবা কে? কি হবে তার বংশ পরিচয়? কে নেবে তার দায়ভার?।

জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ১৮/২০ বছর বয়সী মানসিক ভারসাম্যহীন এই তরুণী কাশিনাথপুর, দ্বারিয়াপুর, বিরাহিমপুর, চব্বিশমাইল, দুলাই, চিনাখড়াসহ বিভিন্ন বাজারে ঘোরাফেরা করতো ওই মেয়েটি। তার নাম, ঠিকানা সম্পর্কে কেউই অবগত নয়। স্থানীয় হোটেল-রেস্টুরেন্ট বা মানুষের সাহায্য সহযোগিতায় তার খাওয়া পরা চলে আর যখন যেখানে যাওয়া সেখানেই তার রাত্রি যাপন করা হয়।

সম্প্রতি মানসিক প্রতিবন্ধী ওই তরুণীর সন্তান সম্ভবা হওয়ার লক্ষণ প্রকাশ পায়। বিষয়টি অনেকেরই দৃষ্টিগোচর হয়। জনৈক ব্যাক্তি ওই নারীর কয়েকটি ছবি তুলে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে সমাজ সচেতন মানুষদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। এতে সাড়া দেন কয়েকজন সচেতন ব্যক্তি ও বিডি এভারগ্রীন (এভারগ্রীন ফ্রেন্ডস সার্কেল) নামক একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।

গত শনিবার তাকে দুলাই-চিনাখড়ার মধ্যবর্তী গুচ্ছগ্রামের নিকট থেকে ওই তরুণীকে নিয়ে এসে কাশীনাথপুর পদ্মা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে গতকাল রবিবার সে একটি পুত্র সন্তান প্রসব করে। খবর শুনে মানসিক ভারসাম্যহীন ওই তরুণীকে খাদ্য, ঔষধ ও আর্থিক সহায়তাসহ বিভিন্ন ভাবে এগিয়ে এসেছেন কাশিনাথপুরের ব্যবসায়ী স্বপন খন্দকার, বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার ডা. আল আমিন, সাব ইন্সপেক্টর শেখ সজিব, পদ্মা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক মোঃ সুজন হোসেন এবং বিডি এভারগ্রিনের শেখ শাহিন ও কৌশিক আহমেদ অনিকসহ প্রমুখ।

তারা জানান, বিষয়টি জানতে পেরে মানবিক দিক বিবেচনা করেনই আমরা তার পাশে এসে দাঁড়িয়েছি।