টাঙ্গাইলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু

মহিষ চরাতে গিয়ে পড়ে থাকা বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এ সময় পাশে তাদের স্কুল পড়ুয়া ছেলে থাকলেও সে অল্পের জন্যে প্রাণে বেঁচে গেছে।

আজ রোববার (২১ জুন) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের অভিরাম গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- অভিরামপুর গ্রামের মো. ওয়াজ উদ্দিনের ছেলে মো. শাজাহান মিয়া (৩৫) ও তার স্ত্রী এলোনা বেগম (৩০)।

শাজাহান গৃহস্থলীর পাশাপাশি বাঁশতৈল বাজারে চায়ের দোকান করতেন। অনিক (১৪) ও জান্নাত (৬) নামে তাদের দুটি সন্তান রয়েছে।

পরিবারিক ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সকালে শাজাহান মিয়া প্রতিদিনের মতো মহিষ চরাতে বাড়ির পাশের মাঠে যান। এক পর্যায়ে মাঠের ওপর পড়ে থাকা বিদ্যুতের মেইন লাইনের তারে জড়িয়ে পড়েন শাজাহান। স্বামীকে বাঁচাতে এলোনা এগিয়ে গেলে তিনিও তারে জড়িয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। এ সময় পাশে থাকা তাদের চৌদ্দ বছরের ছেলে অনিক এগিয়ে গিয়ে আহত হলেও প্রাণে বেঁচে যায়। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গিয়ে স্বামী-স্ত্রী দুজনকে উদ্ধার করেন। পরে বাঁশতৈল ক্লিনিকে নিয়ে গেলে চিকিৎসক দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।

অভিরাম গ্রামের বাসিন্দা অমিত রাজ অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তাদের এলাকায় বাঁশের খুঁটির সাহায্যে ওয়াপদার বিদ্যুতের মেইন লাইন টানা হয়েছে। যা খুবই বিপদজনক। মাঝে মধ্যেই বাঁশের খুঁটি ভেঙে বিদ্যুতের তার মাঠে পড়ে থাকে আর সেগুলোতে জড়িয়ে মানুষ, গবাদী পশুসহ বন্যপ্রাণী মারা যায়।

মির্জাপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আজাহারুল ইসলাম জানান, ওয়াপদা কর্তৃপক্ষের খাম-খেয়ালীপনায় প্রতিনিয়তই এমন দুর্ঘটনা ঘটছে যা খুবই দুঃখজনক বলে তিনি উল্লেখ করেন।

এ ব্যাপারে বাঁশতৈল পুলিশ ফাঁড়ির উপ পরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম জানান, আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।