রংপুরে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের মানববন্ধনে পুলিশের লাঠিচার্জ, আটক ৬

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের পদত্যাগসহ পাঁচ দফা দাবিতে রংপুরে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের মানববন্ধনে লাঠিপেটা করে বাসদ জেলা সমন্বয়ক আব্দুল কুদ্দুসসহ ছয় নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। আজ রংপুর প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে তাদের আটক করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আজ রবিবার দুপুরে রংপুর প্রেস ক্লাবের সামনে পাঁচ দফা দাবিতে মানববন্ধন করার জন্য নেতাকর্মীরা ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে দাঁড়ানোর সাথে সাথে পুলিশ ব্যানার কেড়ে নেয় এবং মানববন্ধনে অংশ নেওয়া নেতাকর্মীদের লাঠিপেটা করে। এ সময় অনেকেই প্রেস ক্লাবের দোতলায় জেলা বাসদ অফিসে অবস্থান নিলে পুলিশ তাদের ধাওয়া করে। এরপর আরো পুলিশ সদস্য সেখানে যোগ দিয়ে প্রেস ক্লাবের সিঁড়ির কাছে অবস্থান নেয়। পরে পুলিশের কয়েকজন কর্মকর্তা সাদা পোশাকে প্রেস ক্লাবের দোতলায় অবস্থিত বাসদ অফিসে গিয়ে রংপুর জেলা বাসদ সমন্বয়ক আব্দুল কুদ্দুস, ছাত্র ইউনিয়ন নেতা নাহিদ, বিশাল এবং ছাত্রফ্রন্টের কল্যাণ, শুভসহ ছয় নেতাকর্মীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশীদ জানান, করোনার সময়ে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ঘোলাটে করার জন্য মানববন্ধনের নামে অরাজকতা সৃষ্টি করার অভিযোগে তাদের আটক করা হয়েছে।

জেলা বাসদের (মার্ক্সবাদী) দলের সদস্য আহসানুল আরেফিন তিতু ও মহানগর সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের আহ্বায়ক সাজু রায় অভিযোগ করেন, সারা দেশে কর্মসূচি পালন করা হলেও রংপুরে পুলিশ কোনো কারণ ছাড়াই মানববন্ধনে হামলা চালিয়ে ব্যানার-ফেস্টুন কেড়ে নিয়ে ছাত্রনেতা ও কর্মীদের লাঠিপেটা করেছে।

অপর দিকে সিপিবির কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রংপুর জেলা সম্পাদক শাহিন রহমান মানববন্ধনে পুলিশের লাঠিপেটা করে ব্যানার ছিনিয়ে নেওয়ার নিন্দা জানিয়েছেন। এ ছাড়া বাসদ জেলা সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুসসহ ছয় নেতাকর্মীকে আটক করার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে অবিলম্বে তাদের মুক্তি দাবি করেন।