জামালপুরে বন্যায় পানি বৃদ্ধির রেকর্ড

বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ১২৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় বন্যার পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। নতুন নতুন এলাকা বন্যার পানিতে প্লাবিত হচ্ছে। চরাঞ্চলসহ দুর্গত এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের সংকট। বাড়ি-ঘরে পানি ওঠায় নিরাপদ আশ্রয় স্থান খুঁজছে বানভাসী মানুষ।

বন্যাদুর্গত এলাকা ঘুরে দেখা যায়, দ্বিতীয় দফা বন্যায় অস্বাভাবিক পানি বাড়ছে। উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের মধ্যে ৬টি ইউনিয়নের প্রায় সব গ্রাম বন্যায় প্লাবিত হয়ে গেছে। নতুন করে গতকাল বুধবার বিকেল থেকে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে পৌরসভার প্রায় ২০টি গ্রাম। এসব এলাকার রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। আরো সংকট দেখা দিয়েছে গবাদি পশুর খাদ্যের। বন্যাদুর্গত এলাকায় মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে পানিবাহিত রোগ। মানবেতর জীবন যাপন করছে বন্যাদুর্গত এলাকার মানুষ।

বানভাসী মানুষের অভিযোগ, পরপর দুইবার বন্যা অতিবাহিত হচ্ছে; কিন্তু কোনো মেডিক্যাল টিম দুর্গত এলাকায় দেখা যায়নি। বন্যাদুর্গত চরাঞ্চল এলাকায় কোনো ত্রাণ সহায়তাও দিতে কেউ আসেনি।

জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) আনোয়ার রফিকুজ্জামান আজাদ জানান, ৪৮ জগন্নাথগঞ্জ ঘাট, ২২ ব্রহ্মপুত্র ও যমুনার পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় পানি বিপৎসীমার ৪১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। প্রথম দফায় পানি বৃদ্ধির রেকর্ড ভেঙেছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর জানান, বন্যাকবলিত মানুষের জন্য প্রথম দফা বন্যার শুরুতে ২১ মে. টন চাল ও ৫৬ হাজার টাকা বরাদ্দ পেয়েছি। আরো বরাদদ্দের জন্য ওপরের মহলকে জানানো হয়েছে।