বগুড়ায় অস্ত্রের মুখে জিম্মি গৃহবধূ, সিঁধ কেটে উদ্ধার করল পুলিশ

দাম্পত্য কলহের জের ধরে বগুড়ার ধুনট উপজেলায় ঘরের ভেতর জিম্মি করে স্ত্রীর গলায় ধারালো অস্ত্র ঠেকিয়ে হত্যার চেষ্টা করেন এক স্বামী। এমন সংবাদ পেয়ে ৫ ঘণ্টা অভিযান চালায় পুলিশ। পরে সিঁধ কেটে ঘরে প্রবেশ করে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে উদ্ধার করে। এ সময় ওই গৃহবধূর স্বামীকে ধারালো অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃত স্বামী পলাশ প্রামাণিক (৪২) উপজেলার নিমগাছি ইউনিয়নের মাজবাড়ি গ্রামের দুলাল প্রামাণিকের ছেলে। আটকের পর মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে তাঁকে বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

জানা গেছে, উপজেলার নিমগাছি গ্রামের জিল্লার রহমানের মেয়ে রহিমা খাতুনের প্রায় ১০ বছর আগে পলাশ প্রামাণিকের সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তাঁদের অভাব-অনটনের সংসারে দাম্পত্য অশান্তি বিরাজ করে। এ অবস্থায় গতকাল সোমবার সকালে রহিমা অভিমান করে বাবার বাড়ি যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ সময় পলাশ তাঁর স্ত্রীকে জোরপূর্বক ঘরের ভেতর নিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন। একপর্যায়ে রহিমার গলায় ধারালো ছুরি ধরে হত্যা করবে বলে ভয় দেখান পলাশ। রহিমার চিৎকারে প্রতিবেশী লোকজন ঘরে প্রবেশের চেষ্টা করেন। কিন্তু কেউ ঘরে প্রবেশ করলে স্ত্রীকে হত্যার পর নিজে আত্মহত্যা করবে বলে পলাশ হুমকি দেন। ফলে কেউ ঘরে প্রবেশ করতে সাহস পায়নি।

এ ঘটনার সংবাদ পেয়ে সোমবার বিকেল ৪টার দিকে বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুর রশীদ, গাজিউর রহমান ও ধুনট থানায় ওসি কৃপা সিন্ধু বালাসহ একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে যান। তাঁরা নানা কৌশলের পর অবশেষে ঘরে সিঁধ কেটে ঘরে প্রবেশ করে রাত ৮টার দিকে রহিমাকে উদ্ধার ও তাঁর স্বামী পলাশকে ছুরিসহ গ্রেপ্তার করেছেন।

ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, এ ঘটনায় মেয়েপক্ষ বাদী না হওয়ায় পলাশকে ১৫১ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া রহিমা খাতুনকে তাঁর মা-বাবার জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।