চিতলমারীতে কচুরিপনায় গো-খাদ্যের ভরসা!

বাগেরহাটে জয় বালা প্রতিদিন শ্রীরামপুর বিল হতে নৌকা ভরে কচুরিপনা কেটে আনেন। গৃহপালিত পশুকে দেন। সম্প্রতি এলাকা প্লাবিত হওয়ায় গো-খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। ধানের খড়, কুটার দাম চড়া। তাই চিতলমারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের জ্যোতিষ বালার ছেলে জয় তাদের গরুকে কচুরিপনা খাওয়াচ্ছেন।

তার মতো প্রায় একই অবস্থা গ্রামের অন্যান্যদের। এভাবে কচুরিপনা দীর্ঘদিন খাওয়ালে গরুর পুষ্টিহীনতার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা।

জয় বালা জানান, যারা আগে ধানের খড় বা কুটা সংরক্ষণ করে রেখেছে, এখন তারা চড়া দামে বিক্রি করছে। প্রায় পাঁচ-সাত মণ ওজনের প্রতি আটি খড় বিক্রি হচ্ছে ১৫০০ টাকা থেকে প্রায় সাত হাজার টাকা দরে। এই দাম তাদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। তাই বাধ্য হয়ে কচুরিপনা খাওয়াতে হচ্ছে।

গো-খাদ্য সংকটের কারণ সম্পর্কে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মনোহর চন্দ্র মন্ডল জানান, খড়-কুটা পঁচেছে, ঘাস মরেছে। অতিবর্ষণ ও জোয়ারে এলাকা বার বার প্লাবিত হওয়ায় এই সংকট সৃষ্টি হয়েছে। কচুরিপনার পুষ্টিগুন অনেক কম। দীর্ঘদিন কচুরিপনা খাওয়ালে গরু পুষ্টিহীন হতে পারে।